২৬১ বছরের ব্রিটিশ ব্যবসা পুনর্জীবনের স্বপ্ন দেখছে মুকেশ আম্বানীর হাত ধরে

Apr 13, 2021 | 1:11 PM

ব্রিটেনের রাস্তায় কার্যত মাছি তাড়ানোর অবস্থা হয়েছিল এই সংস্থার। এবার ভারতে একের পর এক স্টোর খোলার পরিকল্পনা করছে হ্যামলেস (Hamleys)

২৬১ বছরের ব্রিটিশ ব্যবসা পুনর্জীবনের স্বপ্ন দেখছে মুকেশ আম্বানীর হাত ধরে
মুকেশ অম্বানী

Follow Us

মুম্বই: এক সময় রমরমিয়ে চলতে ব্যবসা। কিন্তু পরে বাজারে বেড়েছে প্রতিযোগী। ক্রেতার তুলনায় যোগান যখন বেশি হতে শুরু করেছে, তখনই মার খেতে শুরু করে শতবর্ষ পুরনো ব্যবসা। ২৬১ বছরের ঐতিহ্য নিয়েও পাল্লা দিতে পারছিল না ব্রিটিশ সংস্থা। অবশেষে মুকেশ আম্বানীর (Mukesh Ambani) হাত ধরে একসময়ের ব্রিটিশ কলোনি ভারতে ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা শুরু করেছে সেই সংস্থা।

২৬১ বছরের পুরোনো ইউকের খেলনার রিটেল সংস্থা হ্যামলেস। দীর্ঘদিন ধরে তাদের ব্যবসায় কোনও লাভ হচ্ছিল না। কিন্তু অতিমারীর মধ্যে যখন বিশ্ব জুড়ে একের পর এক ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়ছে, তখন ভারতীয় ব্যবসায়ীর হাত ধরে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে ‘হ্যামলেস’। আগামী তিন বছরের মধ্যে গোটা ভারতে পাঁচশোর বেশি স্টোর খোলার পরিকল্পনা করেছে এই সংস্থা। আম্বানীর রিলায়েন্স লিমিটেডের সিইও দর্শন মেহতা জানিয়েছেন, শুধু ভারত নয়, ইউরোপ ও দক্ষিণ আফ্রিকাতেও স্টোর খুলতে চলেছে ঝিমিয়ে পড়া সেই পাইকারি সংস্থা।

২০১৯-এ সেই কোম্পানি অধিগ্রহণ করেন আম্বানী। ভারতের জনসংখ্যার কথা মাথায় রেখে তিনি এই ধারণা করেছিলেন যে এদেশেই ওই ব্যবসা পুনর্জীবন পেতে পারে। তার আগে পর্যন্ত প্রতিযোগিতার ধাক্কায় কার্যত যায় যায় অবস্থা হয়েছিল এই রিটেল সংস্থার। পরিসংখ্যান বলছে ভারতে প্রায় ১৪০ কোটি জনসংখ্যার ২৭ শতাংশের বয়স ১৪ বছরের নিচে। অথচ গোটা বিশ্বে ৯০ মিলিয়ন ডলারের খেলনা ইন্ডাস্ট্রির মাত্র ১ শতাংশ রয়েছে ভারতে। তাই এ দেশে এই ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠতে পারে তার আন্দাজ পেয়েছিলেন আম্বানী।

হ্যামলেসের স্টোরগুলি শুধুমাত্র মামুলি খেলনার দোকান নয়, অনেকটা কার্নিভালের চেহারা নেবে বলে জানা গিয়েছে। শুধু খেলনা কিনে নেয় স্টোরে গিয়ে নানা ধরনের খেলায় অংশ নিতে পারবে শিশুরা। খেলনা গাড়ির রেস করা যাবে, থাকবে মডেল ট্রেনও। আর অতিমারিতে শিশুরা এখনও গৃহবন্দী। অনলাইন ক্লাসের বাইরে তাদের জীবনেও বিনোদনের সুযোগ কম। তাই এই ধরনের স্টোর বিশেষ আনন্দ দেবে বলেও মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: করোনা আবহে অক্সিজেনের অভাব, ৭ জনের মৃত্যুতে বিক্ষোভ হাসপাতালে

১৭৬০ সালে এই ব্রিটিশ সংস্থা স্থাপন করেন উইলিয়াম হ্যামলে। তারপর ইতিহাস বদলে গেছে অনেক। ২০১৯ এও ৯০ লক্ষ পাউন্ডের ক্ষতি দেখতে হয় এই সংস্থাকে। ওই বছরই, 8 কোটি ৯০ লক্ষ ডলার দিয়ে সংস্থা অধিগ্রহণ করেন মুকেশ আম্বানী। ব্রিটেনের জুড়ে এই সংস্থার ২১টি আউটলেট কার্যত মাছি তাড়াত। রিজেন্ট স্ট্রিটে সবথেকে পুরনো সাত তলা দোকানটি বন্ধ বহু দশক ধরে। এবার ভারতের হাত ধরে নতুন করে ব্যবসা বাড়ানোর স্বপ্ন দেখছে সেই সংস্থা।

Next Article