Beer Bottle: বিয়ার খাওয়ার পর ফিরিয়ে দিতে হবে খালি বোতল! নতুন এই নিয়মের কী কারণ?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Jun 23, 2022 | 6:07 PM

Beer Drinking: ইউক্রেনের বন্দরগুলিতে রাশিয়ান নিষেধাজ্ঞার কারণেই রফতানিতে বাধার তৈরি হয়েছে। সেই কারণে খাদ্যসংকটও তৈরি হয়েছে।

Beer Bottle: বিয়ার খাওয়ার পর ফিরিয়ে দিতে হবে খালি বোতল! নতুন এই নিয়মের কী কারণ?
ছবি- প্রতীকী চিত্র

Follow Us

মিউনিখ: ছোট ছোট আনন্দ উৎসবে গলা ভিজিয়ে নিতে অনেকেই পছন্দ করেন। অনেক সময়ই হুইস্কি, রাম, ভদকার তুলনায় সুরাপ্রেমীদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই জায়গা করে নেয় বিয়ার (Beer)। এক দিকে বিয়ারে যেমন অ্যালকোহলের পরিমাণ কম থাকে, অন্যদিকে বিয়ার খাওয়া অনেক বেশি সহজ। সেই কারণে গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলিতে বিয়ার খাওয়ার প্রচলনও অনেক বেশি। কিন্তু যেসব সুরাপ্রেমীরা বিয়ার খেতে পছন্দ করেন, তারা এখন অদ্ভূত সমস্যার মুখোমুখি। জার্মানিতে (Germany) বোতলের ঘাটতির কারণে সুরাপ্রেমীরা সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বিয়ার প্রস্তুতকারী বিভিন্ন সংস্থার তরফে ক্রেতাদের কাছে বিয়ারের খালি বোতল ফেরত দেওয়ার আবেদন করা হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ ইউক্রেন জার্মানিতে কাচ সরবরাহ করত, তবে যুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া ঘাটতির কারণেই নতুন করে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।

ইউক্রেনের বন্দরগুলিতে রাশিয়ান নিষেধাজ্ঞার কারণেই রফতানিতে বাধার তৈরি হয়েছে। সেই কারণে খাদ্যসংকটও তৈরি হয়েছে। স্টিফেন ফ্রিটশে নামে মদ তৈরির কারখানার মালিক টাইমসেস জানিয়েছেন, গ্রাহকদের কাছ থেকে বিয়ারের খালি বোতল ফিরে পেতে সমস্যা হচ্ছে। বিভিন্ন মদ প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধই এই সংকটের কারণ। জার্মান ব্রিউয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল ম্যানেজার হোলগার আইচেল জানিয়েছেন, “রাশিয়ান আক্রমণের কারণে ইউক্রেনের বেশ কিছু কাচের কারখানা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে পশ্চিম ইউরোপের দেশে কাচের বোতল সরবরাহ কমেছে। সেই কারণে জার্মানিতে কাচের তৈরি পণ্যের চাহিদা বাড়লেও পর্যাপ্ত জোগানের অভাব সমস্যা তৈরি করছে।”

আইচেল জানিয়েছেন, কোনও রকম চুক্তি ছাড়াই মদপ্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি বোতলের জন্য গতবছরের তুলনায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বেশি অর্থ খরচ করেছে। তবে বোতলের ঘাটতি হলেও এর ফলে বিয়ার উৎপাদনে কোনও ঘাটতি হবে না বলেই জানা গিয়েছে। তবে সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখতেও সমস্যা হচ্ছে।

Next Article