আপনার প্রতি মাসে পিএফ কাটে? এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড ফান্ড অর্গানাইজেশনে যাঁদের পিএফ অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁদের জন্য এবার আরও একটা বড় খবর শোনাল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রভিডেন্ড ফান্ডের ক্লেম সেটেলমেন্ট প্রসেসে এবার ২টো পরিবর্তন হতে চলেছে। আর এতে ক্লেম সেটেলমেন্ট প্রসেস অনেক দ্রুত হবে ও ক্লেম রিজেকশনের পরিমাণ কমে যাবে।
নতুন এই পদ্ধতিতে টাকা তোলার সময়ের ঝুটঝামেলা অনেকটা কমে গিয়েছে। এমপ্লয়িদের নাম ভেরিফিকেশনের সময় আর বাতিল চেকের ছবি বা ব্যাঙ্কের পাসবইয়ের ছবি আপলোড করতে হবে না।
২০২৪ সালের ২৮ মে কেন্দ্রীয় সরকার পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে এই ব্যবস্থা চালু করে। যে সমস্ত পিএফ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কেওয়াইসি আপডেট করা রয়েছে তাঁরা প্রথমে এই সুবিধা পেয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ এই সুবিধা নিয়েছেন। তবে এখন এই সুবিধা সমস্ত পিএফ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছে দেশের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নাম পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ই ভেরিফাই হয়। ফলে দ্বিতীয়বার সেই নাম ভেরিফাই করার প্রয়োজন নেই। জানা গিয়েছে, সেই কারণেই নয়া এই নিয়মে আলাদা করে আর নাম ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন পড়বে না।
এ ছাড়াও টাকা তোলার প্রসেসে আরও গতি আনতে কেন্দ্র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর (UAN) যুক্ত করার প্রসেসকে সহজতর করেছে। এই ক্ষেত্রে আগে কোনও ব্যক্তি যে সংস্থায় চাকরি করেন তাদের একটা অনুমোদনের প্রয়োজন হত। এখন সেই অনুমোদন আর লাগবে না। আর এতে স্বস্তি পেয়েছেন হাজার হাজার পিএফ অ্যাকাউন্ট হোল্ডার।