মুম্বই: বিশ্বের সবথেকে ধনী লিগ টুর্নামেন্টের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে আইপিএল। জমকালো, চোখ ধাঁধানো ক্রিকেট লিগ। ২০০৮ সাল থেকে যাত্রা শুরু। তারপর থেকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই বেড়েছে এই মেগা ক্রিকেট লিগের জনপ্রিয়তা। স্টেডিয়ামের ভিতরে যেমন ভিড় জমেছে, তেমনই টিভিতে বা মোবাইলের স্ক্রিনে বেড়েছে দর্শক সংখ্যা। আর একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আইপিএল-এর ব্র্যান্ড ভ্যালুও। ব্র্যান্ড ভ্যালু নির্ধারণকারী সংস্থা ব্র্যান্ড ফিনান্সের সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট বলছে, ২০০৮ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে গত ১৬টি মরশুমে ৪৩৩ শতাংশ বেড়েছে আইপিএল-এর ব্র্যান্ড ভ্যালু।
তার মধ্যে শুধু গত মরশুমের পর ভারতের এই মেগা ক্রিকেট লিগের ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ। ব্র্যান্ড ফিনান্সের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে আইপিএল-এর ব্র্যান্ড ভ্যালু পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ৮৯ হাজার ২৩২ কোটি টাকায়। ফি বছর যেভাবে আইপিএল-এর জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বেড়েছে, যেভাবে বড় বড় ব্যানারের মিডিয়া পার্টনারশিপ পেয়েছে, তাতেই এই ব্যাপক সাফল্য বলে মনে করছে ব্র্যান্ড ফিনান্স।
এ তো গেল, সামগ্রিকভাবে আইপিএল-এর ব্র্যান্ড ভ্যালুর কথা। আর যে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলি রয়েছে, তাদের অবস্থা কী রকম? ধোনির চেন্নাই, নাকি রোহিতদের মুম্বই? কাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু বেশি? শাহরুখের কেকেআর-ই বা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে?
ব্র্যান্ড ফিনান্সের রিপোর্ট বলছে, আইপিএল-এ বর্তমানে সবথেকে ধনী টিম হল মুম্বই ইন্ডিয়ানস। তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৭২৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এরপরই রয়েছে ক্যাপ্টেন কুলের চেন্নাই সুপার কিংস। সিএসকে-র বর্তমান ব্র্যান্ড ভ্যালু ৬৭৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
বর্তমানে ব্র্যান্ড ভ্যালুর নিরিখে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলির মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ব্র্যান্ড ফিনান্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, শাহরুখের কেকেআর-এর ব্র্যান্ড ভ্যালু ৬৫৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এরপর চতুর্থ স্থানে রয়েছে বিরাটদের আরসিবি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৫৭৩ কোটি ৮ লাখ টাকা।