চাকরি তো সবাই করেন। এই করোনার সময়ে বিনা নোটিসে চাকরি হারাতেও অনেকে দেখেছেন। এই করোনা লকডাউনে বাজার অর্থনীতির সংজ্ঞা কিছুটা বদলে গিয়েছে। কর্পোরেট চাকরির থেকে স্বাধীন ব্যবসার দিকে ঝোঁক বেড়েছে মানুষের। অন্যের দাসত্বের নিজের পছন্দের জায়গায় নিজে নিজের পরিচয় গড়ে নিচ্ছেন সকলে। এবার কেউ যদি নিজের ব্যবসা শুরু করবেন এই পরিকল্পনা নিয়েই থাকেন কিন্তু কোন ব্যবসা দিয়ে শুরু করা ঠিক সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না! স্টেশনারি জিনিসপত্রের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করা মন্দ নয়।
স্টেশনারি জিনিসপত্রের ব্যবসায় স্বল্প বিনিয়োগেই মিলতে পারে বড় লাভ। ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা অর্জন করা যেতে পারে এই ব্যবসায়। স্কুল, কলেজের আশেপাশে স্টেশনারি দোকানে ভালই ভিড় নজরে আসে। সুতরাং কেউ যদি এরকম এলাকা স্টেশনারি দোকানের পসড়া সাজিয়ে বসতে পারেন তাঁর ব্যবসা দাঁড় করাতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। স্টেশনারি জিনিসপত্রের ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে।
স্টেশনারি পণ্যের চাহিদা :
পেন, পেন্সল, A4 সাইজ়ের কাগজ, নোটপ্যাড স্টেশনারি সামগ্রীর মধ্যে পড়ে। গ্রিটিংস কার্ড, বিয়ের কার্ড, গিফট কার্ড ইত্যাদি স্টেশনারি দোকানে রাখা যেতে পারে। যদি আপনি একটি স্টেশনারি দোকান খুলতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে ‘শপ অ্য়ান্ড এসটাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট’ এর অধীনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। একটি স্টেশনারি দোকান খোলার জন্য প্রয়োজন ৩০০ থেকে ৪০০ বর্গকিলোমিটার জায়গার। স্বল্প বিনিয়োগেই এই ব্যবসা শুরু রা সম্ভব। ঠিকঠাক একটি স্টেশনারি দোকান খুলতে প্রায় ৫০ হাজার টাকার দরকার প্রয়োজন।
স্টেশনারি দোকান থেকে কত টাকা আয় করবেন
আপনি এই ব্যবসায় কতটা বিনিয়োগ করবেন সেটা একান্তই আপনার বাজেটের উপর নির্ভর করবে। বেশি মুনাফা অর্জনের আশায় বেশি টাকা আপনি বিনিয়োগ করতেই পারেন। তবে এই দোকান খোলার ক্ষেত্রে এলাকা নির্বাচন বুদ্ধির সহকারে করা উচিত। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের কাছাকাছি এই দোকান খুলুন। তাহলে দোকানের বিকিকিনি খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে যাবে। কারণ ওই চত্বরে এইসব পণ্যের চাহিদা বেশি। স্টেশনারি পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে আপনি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ অবধি মুনাফা করতে পারেন।
দোকানের বাজারিকরণ
অর্থাৎ মার্কেটিং। আপনি যে স্টেশনারি দোকান খুলেছেন সেই বিষয়ে সকলকে অবগত করুন। দোকানের নাম সহ একটি প্যামফ্লেট প্রিন্ট করে শহরে বিতরণ করতে পারেন। এছাড়াও স্কুল, কোচিং ইনস্টিটিউট এবং কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আপনার দোকান সম্পর্কে জানাতে পারেন। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপনার দোকানের বিজ্ঞাপন তো দিতেই পারেন। আর আজকের দিনে সবাই বাড়ি বসে সবকিছু হাতের কাছে পেতে পছন্দ করেন। ফলে হোম ডেলিভারির সুবিধা রাখলে আপনার ব্য়বসা তড়তড়িয়ে বাড়তে পারে।