কলকাতা: সিঙাড়ায় আর থাকবে না আলু? ভাবছেন নিশ্চয় এ আবার হয় নাকি! আলু-সিঙাড়ার সম্পর্ক তো চিরন্তন। বাঙালীর কাছে সিঙাড়ার আবার একটা আলাদাই আবেগ রয়েছে। সন্ধ্যার বৈঠকী আড্ডা হোক বা সকালের হাজার ব্যস্তদার মধ্যে একটু স্বাদ বদল, সিঙাড়ার জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু, সেই সিঙাড়াতেই যদি আর আলুর দেখা না মেলে তাহলে কেমনটা হবে? অনেকেই বলছে বর্তমানে তাপপ্রবাহের দাপটে সেটাই সত্যি হতে পারে অচিরেই। কারণ হিট ওয়েবের কারণে এবার আলুর দাম খুব বেশি পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন থেকে এবার সিঙাড়ায় আলুর বদলে কুমড়ো, কাঁচা কলা পাবেন কিনা তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ অন্যান্য সবজির দামও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই সেই ইঙ্গিতও মিলতে শুরু করেছে।
তবে সম্প্রতি আবার টমেটোর দাম কমেছে। এশিয়ার বৃহত্তম সবজির বাজার আজাদপুরে গত কয়েক দিনে টমেটোর দাম ৪০ শতাংশ কমেছে। হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও পাঞ্জাব থেকে টমেটোর আগমন বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু আলুর দাম এখনও চড়া। আগামীদিনে আলুর দাম আরও ৫ থেকে ১০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ।
দেশের বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার কাজ শুরু করে দিয়েছে। নজরদারি চলছে হিমঘরগুলিতে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে আলু আটকে রাখছেন কিনা। নির্বাচনের পরে এই কাজে আরও গতি আনা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি, ক্রিসিল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালিটিকস রিসার্চ এক রিপোর্টে বলেছিল যে নিরামিষ থালির দাম বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এপ্রিলে এর দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ। অন্যদিকে নন-ভেজ থালির দাম কমছে। এটি ৪ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এটাও সরাসরি সবজির দাম বাড়ার ইঙ্গিত দেয়। একইভাবে মঙ্গলবার প্রকাশিত পাইকারি মূদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যানে সবজির দাম বৃদ্ধিকে মূদ্রাস্ফীতি বাড়ার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এপ্রিলে খাদ্রদ্রব্যের মূদ্রাস্ফীতি ছিল মাত্র ৭.৭৪ শতাংশ। যেখানে সবজির পাইকারি দাম বেড়েছে ২৩.৬০ শতাংশ। এখানেই দেখা যাচ্ছে সিঁদুরে মেঘ।