সাইবার প্রতারণার পাশাপাশি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও নানাভাবে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাহকেরা। আপনি যে চেক ইস্যুই করেননি, সেই চেক থেকে টাকা তুলে নেওয়া হতে পারে। এমন ঘটনা সম্প্রতি বেশ কয়েকবার ঘটেছে। কীভাবে যে ভুয়ো চেক তৈরি করে টাকা তোলার চেষ্টা হচ্ছে, তা রীতিমতো ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।
সম্প্রতি এক এনজিও কর্মীর কাছে ব্যাঙ্ক থেকে একটি ফোন আসে। জানানো হয়, তাঁর নামে ৮০ হাজার টাকার একটি চেক ইস্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তি জানান, এমন কোনও চেক ইস্যুই করেননি তিনি। তাই কাউকে যাতে টাকা না দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানান তিনি। কোনও ক্রমে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পান ঠিকই। তবে আশঙ্কা একটা থেকেই যাচ্ছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এই চেক প্রতারণা নিয়ে ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। আরবিআই-এর তরফে ব্যাঙ্কগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে খতিয়ে না দেখে কাউকে টাকা না দেওয়া হয়। তবে ঠিক কত টাকা হলে ভেরিফাই করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত ব্যাঙ্কগুলির ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অনেক সময় চেক প্রতারকের না হলেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের।
তবে এই সমস্যা এড়াতে ইতিমধ্যেই পজিটিভ পে নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আরবিআই। এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক চেক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্ককে সেই চেকের বিষয়ে অবগত করে দিতে পারে। এর ফলে কোনও বাধা ছাড়াই চেক ক্লিয়ার হয়ে যায়। অনলাইনে বা অফলাইনে চেকের বিষয়ে অবগত করা যায়।
এই পদ্ধতিতে গ্রাহককে বেশ কিছু তথ্য দিতে হয় ব্যাঙ্কে। তারিখ, নাম, পেয়ি-র নাম, টাকার অঙ্ক ইত্যাদি উল্লেখ করতে হয়। পেমেন্টের সময় ব্যাঙ্কগুলি সব তথ্য খতিয়ে দেখে তারপর টাকা দিতে পারে। যদি গ্রাহকের তথ্যের সঙ্গে ওই তথ্য না মেলে, তাহলে খতিয়ে দেখা হয়। ফলে প্রতারকদের হাত থেকে বাঁচা সম্ভব হয়।