নয়াদিল্লি: শীঘ্রই আপনার পাসপোর্ট পরিবর্তন হতে চলেছে। আগামী দিনে আপনার পাসপোর্ট ই-পাসপোর্ট দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে। এতে আপনার বিদেশে যাওয়া সহজ হবে। এতে পাসপোর্টে আপনার সংরক্ষিত ডেটা আরও সুরক্ষিত হয়ে উঠবে। ই-পাসপোর্ট কী? আপনার বিদ্যমান পাসপোর্ট থেকে এটি কীভাবে আলাদা? এবং কীভাবে এটি কাজ করবে। আসুন জেনে নিই।
ই-পাসপোর্ট কী?
ই-পাসপোর্ট স্বাভাবিক পাসপোর্টের মতোই কাজ করবে। তবে ভিন্ন বিষয় হচ্ছে এতে একটি ছোট ইলেকট্রনিক চিপ থাকবে। আপনার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাসপোর্টে উপস্থিত চিপে উপস্থিত থাকবে। এতে আপনার নাম, জন্ম তারিখ, বাড়ির ঠিকানা ইত্যাদি। ই-পাসপোর্টে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID) চিপ ব্যবহার করা হবে। এই চিপের সাহায্যে কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে যাত্রীদের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করতে পারবেন। ই-পাসপোর্ট ইস্যু করার পেছনে সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে জাল পাসপোর্টের প্রচলন কমানো। এর পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়াতে হবে এবং নকল ও ডেটা টেম্পারিং কমানো সম্ভব হবে।
ই-পাসপোর্ট কবে আসবে?
দৈনিক ভাস্করের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসে সরকারি ই-পাসপোর্টের পাইলট প্রকল্প শুরু হবে। এতে সরকার প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ পাসপোর্ট ইস্যু করবে। এ জন্য এমন পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র চিহ্নিত করা হচ্ছে যেখান থেকে কম পাসপোর্ট দেওয়া হয়।
বিদ্যমান পাসপোর্টও কি আপগ্রেড করতে হবে?
বর্তমান পাসপোর্টধারীদের ই-পাসপোর্টে আপগ্রেড করতে হবে কিনা সরকার এখনও ঘোষণা করেনি। অথবা ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হলে বিদ্যমান পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে কি না তাও স্পষ্ট নয়। একটি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়াটি একটি ফিজিক্যাল পাসপোর্টের মতোই হবে। তবে দেশে এই পরিষেবা চালু হলে নতুন আবেদনকারীরা সরাসরি ই-পাসপোর্ট পাবেন।
ই-পাসপোর্ট কেমন হবে?
ভারতের ই-পাসপোর্ট দেখতে সাধারণ পাসপোর্টের মতো হবে। এতে একটি চিপ বসানো হবে।
কে বানাবে ই-পাসপোর্ট?
প্রযুক্তি সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস) ই-পাসপোর্ট নিয়ে কাজ করছে। আর এ বছর তা শুরু করার দায়িত্বও ওই প্রতিষ্ঠানটির।