নয়া দিল্লি: বিনিয়োগের নয়া রাস্তা দেখিয়েছিল ক্রিপ্টোকারেন্সি। দেশেও যুব প্রজন্ম অর্থ সঞ্চয়ের জন্য এখন অনলাইনে বিনিয়োগ করতেই বেশি পছন্দ করে। বিগত কয়েক বছর ধরে ক্রিপ্টোকারেন্সির চাহিদা শীর্ষে থাকলেও, হঠাৎ করেই শেয়ারে পতন শুরু হয়েছে। এক ধাক্কায় হু হু করে দাম কমছে ক্রিপ্টোর। এই পরিস্থিতিতে এবার ক্রিপ্টো লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। চাকরি হারাচ্ছেন সংস্থার কর্মীরা। গত ১৪ জুন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ সংস্থা কয়েনবেস-র তরফে জানানো হল, তারা সংস্থার ১৮ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে ধস নামতেই অনলাইন মুদ্রার দাম কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে বিটকয়েনের ট্রেডিং দর ২১৯০০ ডলারে নেমে দাঁড়িয়েছে। ক্রিপ্টোর দর ১৪ শতাংশ পতন হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই শুরু হল কর্মী ছাঁটাই। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ১১০০ কর্মীর চাকরি খোয়াতে চলেছেন।
বড় বড় মার্কিন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তারা আপাতত যাবতীয় ক্রিপ্টোকারেন্সির ট্রান্সফার ও তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একের পর এক ঘটনা ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার পতনের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
1/ Today I shared that I’ve made the difficult decision to reduce the size of our team at Coinbase by about 18%. The broader market downturn means that we need to be more mindful of costs as we head into a potential recession.
— Brian Armstrong – barmstrong.eth (@brian_armstrong) June 14, 2022
কয়েনবেস সংস্থার তরফে চলতি মাসের শুরুতেই জানানো হয়েছিল যে, অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংস্থায় নিয়োগ প্রক্রিয়াা স্থগিত রাখা হচ্ছে। সম্প্রতি যাদের নিয়োগের জন্য অফার লেটার পাঠানো হয়েছিল,তাও বাতিল করা হয়েছে। এরই মাঝে মঙ্গলবার কয়েনবেস সংস্থার সিইও ব্রায়েন আর্মস্ট্রং তাঁর ব্লগে লেখেন, “আজ অত্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। আমাদের সদস্য সংখ্য়া প্রায় ১৮ শতাংশ কমিয়ে ফেলা হচ্ছে এই আর্থিক সঙ্কটের মাঝে টিকে থাকার জন্য।”
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ডলার খরচ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কর্মী নিয়োগ থেকে শুরু করে তাদের সুযোগ-সুবিধার একাধিক নিয়মে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কয়েনবেস সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, চলতি বছরে সংস্থা প্রায় ২০০০ কর্মীর নিয়োগের পরিকল্পনা ছিল প্রোডাক্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডিজাইন ক্ষেত্রে। এরমধ্যে ভারতেই ১ হাজারের বেশি কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা ছিল।