কলকাতা: ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে গোটা দেশেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভোট মিটলেই সাধারণ মানুষের পকেটের বোঝা অনেকটাই বাড়তে পারে। অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার কারণে অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়তে পারে। এও শোনা যাচ্ছে নির্বাচনের পরে, মোবাইল রিচার্জ প্ল্যানের দাম ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। প্রসঙ্গত, ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট শুরু হচ্ছে দেশে। চলবে ১ জুন পর্যন্ত। বেশিরভাগ রাজ্যতে তিন দফায় ভোট পর্ব শেষ হলেও বাংলা, বিহার, উত্তর প্রদেশে ৭ দফায় হতে চলেছে ভোট। ভোট গণনা ৪ জুন। এমতাবস্থায় শোনা যাচ্ছে নির্বাচনের পর টেলিকম ইন্ডাস্ট্রি তাঁদের বিভিন্ন ট্যারিফ প্ল্যানে চার্জ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অর্থাৎ মোবাইল রিচার্জ আরও ব্যয়বহুল হবে। অ্যান্টিক স্টক ব্রোকিং-এর এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই খাতে ফি বৃদ্ধি প্রায় নিশ্চিত।
শোনা যাচ্ছে এতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারে ভারতী এয়ারটেল। বিভিন্ন সংস্থার ট্যারিফ প্ল্যানগুলির দাম ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। দেশে মোবাইল রিচার্জ প্ল্যানগুলি শেষবার ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পরিবর্তন করা হয়েছিল। ফি বাড়ানো হয় প্রায় ২০ শতাংশ। ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা এয়ারটেলের গ্রাহক প্রতি গড় আয় (ARPU) ২০২৬-২৭ অর্থ বছরের শেষ নাগাদ ২৮৬ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে। যা বর্তমানে রয়েছে ২০৮ টাকায়। বাণিজ্য ক্ষেত্রের ওয়াকিবহাল মহলের আশা, ভারতী এয়ারটেলের গ্রাহক বেস প্রতি বছর প্রায় দুই শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। যেখানে গোটা ইন্ড্রাস্টি বছরে এক শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে।
অন্যদিকে Vodafone Idea-এর মার্কেট শেয়ার ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে যেখানে ছিল ৩৭.২ শতাংশ তা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। দাঁড়ায় ১৯.৩ শতাংশে। এই সময়ের মধ্যে ভারতী এয়ারটেলের মার্কেট শেয়ার ২৯.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৩ শতাংশ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে Jio-এর মার্কেট শেয়ার ২১.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৯.৭ শতাংশ হয়েছে।