নয়া দিল্লি: বর্ষশেষে আবার চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ (COVID-19)। চিনে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। নেপথ্য়ে ওমিক্রনের সাব ভ্য়ারিয়েন্ট বিএফ.৭ (BF.7 Sub Variant)। সে দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্য়া কোটি ছাড়িয়েছে, দৈনিক প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকারও। চলতি সপ্তাহেই একাধিকবার বৈঠকে বসেছে কেন্দ্র। সেই বৈঠকে সকলকে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো করোনাবিধি অনুসরণ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য়গুলিকে করোনা পরীক্ষা, করোনা টিকাকরণের উপরে জোর দিতে বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা এখনও করোনা টিকার বুস্টার ডোজ় (Booster Dose) নেননি, তাদের দ্রুত টিকা নিতে বলা হয়েছে।
করোনা টিকার দুটো টিকা সময়মতো নিলেও, সংক্রমণের প্রভাব কমতেই অনেকে আর বুস্টার ডোজ় নিতে চাননি। কেন্দ্রের তরফে বারংবার বুস্টার ডোজ নিতে অনুরোধ করা হয়েছিল, সেই সময় বলা হয়েছিল, করোনার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে এই টিকা। তবে কেন্দ্রের সেই অনুরোধ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি সেই সময়ে। বর্তমানে করোনা নিয়ে ফের একবার উদ্বেগ বাড়তেই করোনা টিকার বুস্টার ডোজ় নিতে উদ্যোগী হয়েছেন অনেকে।
যেকোনও সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনার বুস্টার ডোজ় পাওয়া যাচ্ছে। এর জন্য আপনাকে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ়ের সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। পাশাপাশি কো-উইনে রেজিস্টার করা মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
যদি আপনার কাছে ভ্য়াকসিনেশন সার্টিফিকেট না থাকে, বা খুঁজে না পান, তবে কো-উইনের ওয়েবসাইট থেকেই ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারেন।
বুস্টার ডোজ় নেওয়ার আগে মাথায় রাখতে হবে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার ৯ মাসের ব্যবধানে বুস্টার ডোজ় নিতে হবে।