দার্জিলিং: শীত শেষ হয়ে বসন্ত আসতে চলেছে। স্কুলগুলিতে পরীক্ষাও প্রায় শেষের দিকে। স্বাভাবিকভাবেই দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবন থেকে একটু মুক্তির আস্বাদ পেতে অনেকেই ছুটে যেতে চায় পাহাড়ে। আর পাহাড় মানে প্রথমেই বাঙালির মনে আসে দার্জিলিঙের কথা। শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা আর সবুজ চা বাগানে ঘেরা দার্জিলিঙে ম্যালে বা টাইগার হিলে বসে গরম চায়ে চুমুক দিতে-দিতে সূর্যোদয় দেখার অনুভূতি-ই আলাদা। আর দার্জিলিঙে গিয়ে কখনও টয় ট্রেনে চড়েননি, এমন লোকের সংখ্যা কম-ই আছে। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমাও পেয়েছে দার্জিলিঙের টয় ট্রেন। এখন থেকে ফের সরাসরি শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন শুরু হয়েছে। তবে টয় ট্রেনের টাইম টেবিল, কীভাবে কোথা থেকে বুকিং করতে হয়, অনেকেই জানেন না। ফলে অনেকের ইচ্ছা থাকলেও সাধ পূরণ করতে পারেন না। টয় ট্রেনের ভাড়া ও সময়সূচি দেখে নেওয়া যাক একনজরে
টয় ট্রেনের রুট
দার্জিলিং টয় ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে শুরু হয়। তারপর শিলিগুড়ি, কার্সিয়াং এবং ঘুম হয়ে দার্জিলিঙে পৌঁছয়। প্রায় ৮৮ কিমির এই রুটে হিল কার্ট রোড, বাতাসিয়া লুপ-সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের উপর দিয়ে যায় টয় ট্রেনটি।
টয় ট্রেনের সময়
মূলত, দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের অধীনে দার্জিলিঙের টয় ট্রেন চলে। মরশুমের সময় অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে প্রতিদিন ২০টি টয় ট্রেন পরিষেবা পাওয়া যায়। দার্জিলিং ও ঘুম রুটের মধ্যে ১৮টি পরিষেবা রয়েছে। তবে বর্ষার সময় অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি এবং যখন পর্যটক কম থাকে (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি), সেই সময়ে টয় ট্রেন পরিষেবার সংখ্যা কম থাকে।
টয় ট্রেনের ভাড়া
জয় রাইড ও রেগুলার রাইড – দু-ধরনের টয় ট্রেন চলে দার্জিলিঙে। জয় রাইডের মধ্যে ট্রেন চালিত ও বাষ্প চালিত- দু-ধরনের ট্রেন রয়েছে। ডিজেল চালিত টয় ট্রেনের জনপিছু ভাড়া ১০০০ টাকা। আর বাষ্প চালিত টয় ট্রেনের জনপিছু ভাড়া ১৬০০ টাকা। ডিজেল ইঞ্জিনে ফার্স্ট ক্লাসের কেবিন-সহ বিলাসবহুল ব্যবস্থা রয়েছে। যাত্রীরা তাঁদের পছন্দ মতো ট্রেন বুকিং করতে পারেন।
অন্যদিকে, রেগুলার দার্জিলিং টয় ট্রেনের ভাড়া গন্তব্য অনুযায়ী আলাদা। ন্যূনতম ভাড়া শুরু হচ্ছে ৪৫০ টাকা দিয়ে এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ১,৪২০ টাকা।
কীভাবে টয় ট্রেনের টিকিট বুকিং করবেন?
ভারতীয় রেলেরই অন্তর্গত দার্জিলিয় টয় ট্রেন। তাই ভারতীয় রেলের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে টয় ট্রেনের টিকিট বুকিং করা যায়। ওয়েবসাইটেই ট্রেনের সময় দেওয়া থাকে। এছাড়া যে কোনও কম্পিউটারাইজড রিজার্ভেশন কাউন্টার থেকেও টয় ট্রেনের টিকিট বুকিং করা যাবে।