Dhanteras: দীপাবলির আলোয় আঁধার নামল চিনে! ক্ষতি কয়েক লক্ষ কোটি টাকার

Oct 30, 2024 | 7:06 PM

Dhanteras: কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের সাধারণ সম্পাদক তথা বিজেপি সাংসদ প্রবীণ খান্ডেলওয়ালের দাবি, উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের খুচরো বাজারে বিক্রি একলাফে অনেকটা বেড়েছে। সব মিলিয়ে ধনতেরাসের সময় দেশব্যাপী খুচরো বাজারে আনুমানিক ৬০,০০০ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর একই সময়ে, ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে চিনের।

Dhanteras: দীপাবলির আলোয় আঁধার নামল চিনে! ক্ষতি কয়েক লক্ষ কোটি টাকার
ধনতেরাসে নেমেঠছে ক্রেতার ঢল
Image Credit source: PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি:  কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ভারতের দীপাবলি উজ্জ্বল হয়ে উঠত চিনা টুনি বাল্ব, চিনা আতশবাজিতে। কিন্তু, ভারতীয় পণ্যগুলিকে বিশ্বের বাজারে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য, মোদী সরকার শুরু করেছিল ‘ভোকাল ফর লোকাল’ প্রচার। আর এই প্রচারে মিলেছে দারুণ সাড়া। এমনটাই দাবি কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের সাধারণ সম্পাদক তথা বিজেপি সাংসদ প্রবীণ খান্ডেলওয়াল। তাঁর দাবি, উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের খুচরো বাজারে বিক্রি একলাফে অনেকটা বেড়েছে। সব মিলিয়ে ধনতেরাসের সময় দেশব্যাপী খুচরো বাজারে আনুমানিক ৬০,০০০ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর একই সময়ে, ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে চিনের।

প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, বর্তমানে উৎসবের মরসুমে চিনা পণ্যের বদলে ভারতীয় হাতে তৈরি পণ্য কেনার দিকে বেশি করে ঝুঁকছেন ভারতীয় ক্রেতারা। তিনি বলেছেন, “দীপাবলির সময়ে চিনা পণ্য বিক্রি কমার ফলে, এই মরসুমে সম্ভবত চিনের ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।”

তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় কারিগরদের সমর্থন করার লক্ষ্য়েই ‘ভোকাল ফর লোকালে’র ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সেই প্রচারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, স্থানীয় মহিলা, কুমোর এবং কারিগরদের তৈরি পণ্যের বিক্রয় বাড়াতে ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে উত্সাহিত করেছে কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স। বুধবার (৩০ অক্টোবর), প্রবীণ খান্ডেলওয়াল এবং দিল্লির বিজেপি কর্মী এবং ব্যবসায়ী নেতারা, নয়া দিল্লির চাঁদনি চকের স্থানীয় কুমোরদের কাছ থেকে মাটির প্রদীপ এবং অন্যান্য সর সাজানোর জিনিসপত্র কেনাকাটা করেন। একইভাবে, দিল্লি এবং অন্যান্য রাজ্যেও কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের কর্তারা, স্থানীয় উদ্যোগে তৈরি বিভিন্ন পণ্য কেনাকাটা করেন।

কনফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধনতেরাসের কেনাকাটার মধ্যে, সোনা ও রুপোর গয়না, বাসনপত্র, যানবাহন, ইলেকট্রনিক্স, ব্যবসায়িক সরঞ্জাম এবং গৃহস্থালীর জিনিসপত্র বেশি বিক্রি হচ্ছে। অল ইন্ডিয়া জুয়েলার্স অ্যান্ড গোল্ডস্মিথ ফেডারেশনের সর্বভারতীয় সভাপতি, পঙ্কজ অরোরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র মঙ্গলবারই (২৯ অক্টোবর), আনুমানিক ২০,০০০ কোটি টাকার সোনার বিক্রি হয়েছে। রুপো বিক্রি হয়েছে ২,৫০০ কোটি টাকা মূল্যের। তিনি বলেছেন, “দাম বেশি বলে কম ওজনের পণ্য বিক্রি হয়েছে। কিন্তু, অর্থের দিক থেকে দেখলে বিক্রি বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশব্যাপী ২৫ টন সোনা এবং ২৫০ টন রুপো বিক্রি হয়েছে। এছাড়া, পুরোনো রুপোর মুদ্রার চাহিদা ফের বেড়েছে। প্রতিটি কয়েন বিক্রি হচ্ছে ১,২০০ থেকে ১,৩০০ টাকার মধ্যে।

Next Article