প্রতীকী চিত্র
নয়া দিল্লি: হঠাৎ পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন? সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটতে হয়েছে? এক্ষেত্রে পরিজনের সুস্থতা নিয়ে একদিকে যেমন চিন্তা থাকে, তেমনই আবার হাসপাতালের খরচও চিন্তা বাড়ায়। আগে বেসরকারি কোনও হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা হলেই, পরিবারের সদস্যদের একসঙ্গে মোটা টাকার বিল মেটাতে হত। যদি কারোর স্বাস্থ্যবিমা করানো থাকে, তবে হাসপাতালের বিল ও সংশ্লিষ্ট নথি জমা দিতে, তবেই বিমার টাকা পাওয়া যেত। এই পদ্ধতিকে বলা হত রিইমবার্সমেন্ট ক্লেম। যদিও বর্তমান সময়ে অধিকাংশ হাসপাতালেই ক্যাশলেস পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। এরফলে পরিবারের সদস্যদের আর হাসপাতালে রোগী ভর্তির সময় নগদ টাকা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হয় না। হাসপাতালে স্বাস্থ্যবিমার কথা জানালে এবং কার্ড জমা দিলেই, তারা সরাসরি বিমা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে নেয় এবং যাবতীয় পাওনা-গণ্ডা বুঝে নেয়। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ক্যাশলেস ক্লেম। তবে জরুরি পরিস্থিতি বা জরুরিভিত্তিতে সত্যিই কি ক্যাশলেস ক্লেমের সুবিধা পাওয়া যায়?
কী বলা হয় ক্যাশলেস ক্লেমের শর্তে?
ক্যাশলেস ক্লেমের ক্ষেত্রে বিমা সংস্থাগুলির তরফে দাবি করা হয় যে এই পদ্ধতিতে সহজেই হাসপাতালের বিল মেটানো সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনাকে নগদ টাকার ব্যবস্থা করতে হবে না। একইসঙ্গে ব্যস্ততার মাঝে হাজারো কাগজের ঝক্কি সামলাতে হবে না। এক্ষেত্রে বিমা সংস্থা ও হাসপাতাল সরাসরি নিজেদের মধ্যেই কথা বলে নেয়।
কীভাবে কাজ করে এই পরিষেবা?
ক্যাশলেস পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রি-অথারাইজেশন বা আগে থেকে অনুমোদনের প্রয়োজন। অর্থাৎ যদি কাউকে পরিকল্পনা মাফিক, ধরুন কোনও অস্ত্রোপচার বা অন্য চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়, তবে সেক্ষেত্রে আগে বিমা সংস্থাকে রোগী ভর্তির পরিকল্পনা, চিকিৎসা পদ্ধতি ও চিকিৎসার আনুমানিক খরচ সম্পর্কে জানাতে হবে। হাসপাতালের ইন্সুরেন্স ডেস্কের তরফেও একাধিক তথ্য-নথি জমা দিতে বলা হবে। যাবতীয় তথ্য যাচাই এবং হাসপাতাল ও বিমা সংস্থার মধ্যে কথাবার্তার পরই খরচের অর্থ আগে থেকে অনুমোদন করা হবে। এই অনুমোদন পাওয়ার পরই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি ও নিখরচায় যথাযথ চিকিৎসা করা সম্ভব।
হাসপাতাল থেকে রোগীকে ছাড়ার আগে বিমা সংস্থার কাছে সম্পূর্ণ বিল পাঠানো হয়। সেখানে বিভিন্ন শর্ত পূরণ হলেই চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বিমা সংস্থা বহন করে। যদি কোনও ওষুধ বা চিকিৎসায় ব্যবহৃত সামগ্রী বিমার অধীনে না থাকে, তবে বিমাকারীকেই সেই অর্থ নিজের পকেট থেকে দিতে হবে।
জরুরি ভিত্তিতে নাও মিলতে পারে ক্যাশলেস পরিষেবা-
অনেক হাসপাতাল ও বিমা সংস্থাই জরুরি পরিস্থিতিতে ক্যাশলেস ক্লেমের সুবিধা দিতে পারে না, কারণ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তথ্য যাচাই, হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব নয়। এদিকে জরুরি ভিত্তিতে রোগী ভর্তি ও চিকিৎসাও প্রয়োজনীয়। সেক্ষেত্রে নগদ অর্থের উপরই ভরসা করতে হয়।