কলকাতা: আয় থাকলেও সঞ্চয় নেই। তারফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাংসারিক খরচ (Family expenses) বাড়তেই বিপাকে পড়েন অনেক মানুষ। জীবনে অর্থবান হতে কে না চায়! কিন্তু লক্ষ্মী লাভ হলে তা ধরে রাখতে পারেননা অনেকে। কিন্তু, চাকরি জীবনের শুরু থেকে সঠিক রাস্তায় ছোট ছোট বিনিয়োগ করলে সহজেই মিটতে পারে এই সমস্যা। মাথায় রাখতে হবে কতগুলি সহজ টিপস। এই ক্ষেত্রে জীবনে সঞ্চয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নিজের মধ্যেই ঠিক করা ফেলা দরকার।
ধরা যাক, চাকরি (Jobs) জীবনের শুরু থেকে আপনি ঠিক করলেন আগামী ১০ বছরের মধ্যে আয় বুঝে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা আপনি সঞ্চয় করবেন। এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোলে একাধারে যেমন আপনার কাজের দক্ষতা অনেকাংশে বেড়ে যাবে, তেমনই দ্রুতহারে বাড়তে থাকবে সঞ্চয়ের পরিমাণও। তবে এই ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো, বড়লোক হওয়ার কোনো ‘শর্টকার্ট’ নেই। এমনকী জাদুবলেও আপনি কোটিপতি হয়ে যাবেন না। তাই পরিশ্রমের পাশাপাশি স্মার্ট ওয়ার্ক বা বুদ্ধি লাগিয়ে কাজ করার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। তবে এর জন্য সবার আগেই ‘নিজের উপর ইনভেস্টমেন্ট’ বিশেষ ভাবে প্রয়োজন।
তবে নিজের উপর ইনভেস্টমেন্ট মানে হয়তো অনেকেই ভাববেন নিজের পার্থিব চাহিদা মেটানোর কথা। কিন্তু, ধনী হতে গেলে সবার আগে নিজের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, যে কোনও কাজের জায়গায় সর্বদাই দক্ষ লোকের চাহিদা থাকে। তাই সঠিক ভাবে কাজ জানলে চাকরিতে পদোন্নতি কেউই ঠেকাতে পারবেন। একবার ধনী হয়ে গেলে তখন আর পার্থিব চাহিদা মেটানোর রাস্তাও অনেকটা সুগম হয়ে যায়। যদি আপনার ব্যবসায় আগ্রহ থাকে তবে শুরু থেকেই সেই পথে হাঁটা শুরু করুন। কারণ, ব্যবসায় শ্রীবৃদ্ধি একদিনে হয় না। এর জন্য লাগে ধৈর্য্য। যদি, চাকরিকেই নিজের আয়ের উৎস হিসাবে দেখেন। তবে, আপনার নিজস্ব চাকরির দুনিয়ায় অন্যদের ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি বর্তমান দুনিয়ায় আপনি যাই করুন প্রতিক্ষেত্রে জনসংযোগ, পরিচিত, ইংরাজীতে দক্ষতা বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। তাই আপনার খামতির জায়গা বুঝে সেগুলি ঠিক করতে আরও মনোযোগী হন। তাহলে সহজেই আসবে সাফল্য।