নয়া দিল্লি: মূল্যবৃদ্ধি যে ভাবে মধ্যবিত্তের ঘাড়ের ওপর চেপে বসেছিল, তাতে সংসার চালানোই দায় হয়ে উঠেছিল অনেকের পক্ষে। বাজারে গেলেও অনেক জিনিস ছোঁয়ার আগে দু বার ভাবতে হচ্ছিল সাধারণ মানুষকে। তবে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমে যাওয়ায় ক্রমশ স্বস্তি ফিরবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এসেছে আরও একটা সুখবর। পেট্রোল-ডিজেলের পর দাম কমতে চলেছে ভোজ্য তেলেরও। বিশেষত সর্ষের তেলের দাম একধাক্কায় অনেকটাই কমছে। কাচ্চি ঘানি সর্ষের তেলের দাম টিন প্রতি অন্তত ৪০ টাকা করে কমেছে বলে সূত্রের খবর। ইন্দোনেশিয়া ভোজ্য তেল রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় হু হু করে বেড়ে গিয়েছিল ভোজ্য তেলের দাম। এবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। তাই দামও কমতে শুরু করেছে।
ইন্দোনেশিয়া ভোজ্য তেল রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় ফলেই ভারতেও অধিকাংশ তৈল বীজের দাম কমতে শুরু করেছে। আর তারই প্রভাবে দাম কমছে ভোজ্য তেলের। গত সপ্তাহের তুলনায় সর্ষের দাম চলতি সপ্তাহে কুইন্টাল প্রতি কমপক্ষে ১০০ টাকা করে কম হয়েছে। বর্তমানে সর্ষে বীজ বিকোচ্ছে ৭,৫১৫ থেকে ৭,৫৬৫ টাকা প্রতি কুইন্টাল দরে।
তৈলবীজের দাম কমে যাওয়ায় কুইন্টাল প্রতি দাদরি সর্ষের তেলের দাম ২৫০ টাকা কমে গিয়েছে। এক কুইন্টাল তেলের দাম হয়েছে ১৫ হাজার ৫০ টাকা। অন্যদিকে, ১৫ কেজির কাচ্চি ঘানি ও পাক্কি ঘানির সর্ষের তেলের দাম কমেছে টিন (১৫ কোজি) প্রতি ৪০ টাকা কুইন্টাল প্রতি।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লেও ভারতে দাম কমেছে সয়াবিন তেলেরও। গত সপ্তাহে পাম তেলের দাম কমেছে কুইন্টাল প্রতি ৫০০ টাকা। বর্তমানে যার কুইন্টাল প্রতি দাম ১৪ হাজার ৮৫০ টাকা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পেট্রোলে ৮ টাকা এবং ডিজেলে ৬ টাকা করে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ফলে প্রতি লিটার পেট্রোলে সাড়ে ৯ টাকা এবং প্রতি লিটার ডিজেলে ৭ টাকা দাম কমেছে। এর জন্য সরকারের বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।