নয়া দিল্লি : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। প্রভাব পড়ছে ভারতেও। পেট্রোপণ্যের দাম বাড়া পাশাপাশি ভোজ্য তেলের দাম নিয়েও উদ্বেগ বেড়েছে। ভোজ্য তেলে বড়সড় ঘাটতি দেখতে পাওয়া যেতে পারে এমন আশঙ্কাতেই দাম বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর এবার দাম কমতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে একটু একটু করে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। বিশেষত ইন্দোনেশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে আরও। তবে সূত্রের খবর, আগামী জুন মাসে একধাক্কায় অনেকটাই কমতে পারে সেই দাম।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আদানি উইলমার সংস্থার অন্যতম কর্তা অংশু মালিক জানিয়েছেন, জুন মাস থেকেই দাম কমতে পারে। ১৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, ১০ মের মধ্যে তেল রফতানি ফের শুরু করে দেবে ইন্দোনেশিয়া। তারপরই দাম কমতে শুরু করবে। যেভাবে দাম বেড়েছে, সেভাবেই দাম ক্রমশ কমতে শুরু করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অংশু মালিক উল্লেখ করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব যখন কমতে শুরু করেছে, তখন ইন্দোনেশিয়া তেল রফতানি বন্ধ করে দিল। তবে আপাতত সেই কঠিন সময় কেটে গিয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি। তাঁর দাবি ইন্দোনেশিয়া বেশি দিন তেল রফতানি বন্ধ রাখতে পারবে না, কারণ সে দেশে যে পরিমান তেল উৎপাদন হয়, তা মজুত রাখার মতো যথেষ্ট জায়গা তাদের নেই। তাই তারা তেল রফতানি করতে বাধ্য। ১০ মের পর রফতানি চালু করে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। আর তারপর দাম বাড়ানোর আর কোনও কারণ থাকবে না বলেই মত প্রকাশ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, খুব শীঘ্রই কেন্দ্র শুল্ক কমাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অর্থমন্ত্রকের রাজস্ব বিভাগ এ বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গিয়েছে। ইন্দোনেশিয়া নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পরে ভারত অন্য কোন পথে তেল আমদানি করবে, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে।