Edible Oil Price: দাম কমছে ভোজ্য তেলের! লিটারে ১৫ টাকা পর্যন্ত সস্তা পাম, সূর্যমুখী, সয়াবিন তেল

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jun 17, 2022 | 2:22 AM

Edible Oil Price: দাম কমছে ভোজ্য তেলের। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দাম কমার কারণে ব্র্যান্ডেড পাম তেল, সূর্যমুখী তেল এবং সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে।

Edible Oil Price: দাম কমছে ভোজ্য তেলের! লিটারে ১৫ টাকা পর্যন্ত সস্তা পাম, সূর্যমুখী, সয়াবিন তেল
রান্নাঘরে মিলবে কিছুটা স্বস্তি।

Follow Us

নয়া দিল্লি: ভারতীয়দের জন্য আরও কিছুটা স্বস্তি। দাম কমছে ভোজ্য তেলের। ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দাম কমার কারণে ব্র্যান্ডেড পাম তেল, সূর্যমুখী তেল এবং সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভেজিটেবল অয়েল প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুধাকর রাও দেশাই জানিয়েছেন, পাম তেলের দাম লিটারে প্রতি ৭ থেকে ৮ টাকা কমানো হয়েছে। একই সময়ে সূর্যমুখী তেলের দাম লিটার প্রতি কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা কমেছে।

সুধাকর রাও দেশাই বলেছেন, ‘দাম কমার ফলে চাহিদা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই, ডিস্ট্রিবিউটরা আরও বেশি করে ভোজ্য তেল মজুত করা শুরু করেছে। ভোজ্যতেলের দাম কমে যাওয়ায় প্রভাব খাদ্যে মূল্যস্ফীতির উপরও পড়বে। খাদ্যে মূল্যস্ফীতির অনেকটাই নির্ভর করে ভোজ্য তেলের দামের উপর। গত মে মাসে ভোজ্যতেল এবং চর্বি বিভাগের ১৩.২৬ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি দেখা গিয়েছিল। গত এক বছরে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির কারণেই এই মুদ্রাস্ফীতি দেখা গিয়েছিল।’

অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়া ভোজ্য তেলের রপ্তানি বন্ধ করায় ভারতের পাম তেলের আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। গত এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে ভারতের পাম তেলের আমদানি ১০ শতাংশ কমেছে। সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী গত এপ্রিল মাসে ৫,৭২,৫০৮ টন পাম তেল আমদানি করেছিল ভারত। মে মাসে আমদানি কমে হয়েছে ৫,১৪,০২২ টন। প্রসঙ্গত, গোটা বিশ্বে ভারতই সবথেকে বেশি পাম তেল আমদানি করে। প্রতি বছর আমাদের দেশএ ১৩.৫ মিলিয়ন টন ভোজ্য তেল আমদানি করা হয়। এর মধ্যে ৮ থেকে ৮.৪ মিলিয়ন টন বা ৬৩ শতাংশই পাম তেল। এর জন্য ভারত ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার উপর নির্ভরশীল। ভারতের আমদানি করা ৪৫ শতাংশ পাম তেল আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে, বাকিটা মালয়েশিয়া থেকে।

গত এপ্রিল মাসে ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রফতানি নিষিদ্ধ করেছিল। তবে অপরিশোধিত পাম তেলের ক্ষেত্রে রফতানিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। ভারত প্রতি বছর ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রায় ৪ মিলিয়ন টন পাম তেল আমদানি করে। ফলে ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় ভারতে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে গিয়েছিল। পাসাপাশি দাম বেড়েছিল বিভিন্ন পণ্যের। কারণ, বিভিন্ন খাদ্য পণ্য, ডিটারজেন্ট, প্রসাধনী এবং জৈব জ্বালানীতে পাম তেল ব্যবহার করা হয়। পাম তেলের দাম বাড়ায় এই শিল্পগুলির উৎপাদন খরচও বেড়েছিল। ২৩ মে ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রফতানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল।

Next Article