আজ সকাল সকাল খবরের চ্যানেল খুলে মাথায় হাত পড়েছিল দেশের মধ্যবিত্তদের। আজ এক লাফে ৫০ টাকা বাড়ানো হয় ঘরোয়া রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম। তবে এই দুঃসংবাদের মধ্যেই সরকারের তরফে আজ একটি স্বস্তির খবর দেওয়া হল। খাদ্য সচিব সুধাংশু পান্ডে বুধবার বলেন যে সরকার ভোজ্য তেল উৎপাদক কোম্পানিগুলিকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি লিটারে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারকদের সারা দেশে একই ব্র্যান্ডের তেলের ক্ষেত্রে অভিন্ন এমআরপি (সর্বোচ্চ খুচরো দাম) বজায় রাখতেও নির্দেশ দিয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে সারা বিশ্বে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছিল। এদিকে ইন্দোনেশিয়াও পাম তেল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ভারতে ভোজ্য তেলের দাম রকেট গতিতে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। তবে সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী ভোজ্য তেলের দাম পড়েছে। এরই মধ্যে ভারতে ভোজ্য তেলের খুচরো মূল্য কমাতে আলোচনায় বসে খাদ্য মন্ত্রক এবং ভোজ্য তেলের শিল্প সংস্থা। সেই বৈঠকের পরেই খাদ্য সচিব মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস কমাতে ভোজ্য তেলের দাম কমানোর ঘোষণা করেন।
বৈঠকের পর সংবাদ সংস্থাকে খাদ্য সচিব বলেন, ‘আমরা একটি বিশদ উপস্থাপনা রেখেছিলাম ভোজ্য তেল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির সংগঠনের সামনে। এবং তাদের আমরা বলেছি যে শুধুমাত্র গত এক সপ্তাহেই বিশ্বব্যাপী দাম ১০ শতাংশ কমেছে। এই মূল্য হ্রাসের লাভ ভোক্তাদেরও পাওয়া উচিত। আমরা তাদের এমআরপি কমাতে বলেছি।’ ভারত তার ভোজ্য তেলের চাহিদার ৬০ শতাংশের বেশি আমদানি করে। এই আবহে দেখা গিয়েছে, গত এক মাসে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে দাম প্রতি টনে ৩০০ থেকে ৪৫০ ডলার কমেছে। এদিকে গত মাসে, অনেক ভোজ্য তেল সংস্থাই তাদের দাম প্রতি লিটারে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমিয়েছে।
উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, ৬ জুলাই পাম তেলের গড় খুচরা মূল্য প্রতি কেজিতে ১৪৪.১৬ টাকা, সূর্যমুখী তেলের দাম প্রতি কেজিতে ১৮৫.৭৭ টাকা, সয়াবিন তেলের দাম ১৮৫.৭৭ টাকা প্রতি কেজি, সর্ষের তেল ১৭৭.৩৭ টাকা প্রতি কেজি এবং চিনাবাদাম তেলের দাম ১৮৭.৩৯ টাকা প্রতি কেজি ছিল। এই আবহে প্রধান তেল উৎপাদনকারীরা সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে আগামী সপ্তাহের মধ্যে পাম তেল, সয়াবিন এবং সূর্যমুখী তেলের মতো ভোজ্য তেলের এমআরপি প্রতি লিটারে ১০ টাকা পর্যন্ত কমানো হবে।