নয়া দিল্লি: দ্রব্য মূল্য হ্রাস পাচ্ছে ক্রমশ। গত তিনদিনে মূল্যবৃদ্ধির যে চিত্র দেখা গিয়েছে, তা ২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে জানা গিয়েছে। তবে এটা আপাতদৃষ্টিতে স্বস্তিদায়ক বলে মনে হলেও আদতে খুব একটা ভাল খবর নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এল নিনোর কারণে ফের চড়চড় করে বাড়তে পারে দ্রব্যমূল্য। বাড়তে পারে শস্য, সবজি, চিনির দাম। কেন্দ্রীয় সরকার এই মূল্য হ্রাস করার দিকে নজর দিলেও আগামিদিনে দেশের অর্থনীতিতে এল নিনো বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এল নিনোর সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে অনেকদিন আগেই। যার জেরে হতে পারে খরা। বর্ষার শস্য উৎপাদনেও প্রভাব পড়তে পারে। তার প্রভাবেই হতে পারে মূল্যবৃদ্ধি। আর খাবারের দাম বেড়ে গেলেই পাইকারি বাজারে প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। চাল, চিনি, করলা, ঢেঁড়শ, পটলের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বাড়তে পারে।
মূল্য হ্রাস হওয়ায় সরকার আপাতভাবে স্বস্তি পেলেও সরকার পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে মন দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিই যাতে বজায় থাকে অর্থাৎ দাম যাতে কম থাকে, সে জন্য সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কী সমস্যা হতে পারে, তা নিয়ে পর্যালোচনা করে, পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
বিশেষত চাল ও চিনির মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কাই সবথেকে বেশি। তথ্য বলছে, চিনির উৎপাদন ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টন থেকে কমে হয়েছে ৩ কোটি ২৮ লক্ষ টন। এমনকী চিন, পাকিস্তান, থাইল্যান্ডেও কমেছে চিনির উৎপাদন। পাশাপাশি, চালের দামও একইভাবে বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।