নয়া দিল্লি: মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে বর্তমানে চিন্তিত সারা বিশ্ব। আর্থিক মন্দার আশঙ্কায় প্রহর গুনছে মার্কিন মুলুক। মুদ্রাস্ফীতি সামাল দেওয়ার জন্য বুধবার রাতে আমেরিকার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক, ফেডেরাল রিজার্ভের তরফে সুদের হার বাড়ানো হয়েছে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট। এদিকে মার্কিন ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়ানোয় চাপ তৈরি হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার উপরেও। আগামী সপ্তাহেই ঋণের উপরে সুদের হার নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে আরবিআই। ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে, ফের একবার রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট বাড়াতে পারে। ব্যাঙ্ককে দেওয়া ঋণের উপরে সুদের হার বাড়লে, স্বাভাবিকভাবেই ব্যাঙ্কও সাধারণ গ্রাহকদের ঋণের উপরেও সুদের হার বৃদ্ধি করবে।
যদি সত্যিই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেটের হার বৃদ্ধি করে, তবে ব্যাঙ্কগুলিও তাদের দেওয়া ঋণের উপরে সুদের হার বৃদ্ধি করবে। এরফলে এক ধাক্কা বেশ অনেকটাই বাড়বে বাড়ি-গাড়ির ঋণে ইএমআইয়ের খরচ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কতটা রেপো রেটের হার বৃদ্ধি করছে, তার উপরই নির্ভর করছে ব্যাঙ্ক তাদের সুদের হার ও ইএমআই কতটা বাড়াবে।
গত মে ও জুন মাসেই পরপর দুবার রেপো রেট বাড়িয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। জুন মাসে রেপো রেট ৫০ বেসিস বাড়ানোয়, তা ৮.৯০ শতাংশে পৌঁছয়। তার আগে মে মাসেও রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছিল। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই রেপো রেট স্থির রেখেছিল আরবিআই। পরপর ১১ দফায় অপরিবর্তিত ছিল রেপো রেট। কিন্তু ধীরে ধীরে অর্থনীতির হাল ফেরাতেই মে-জুন মাস থেকে রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় আরবিআই।
এদিকে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে রেপো রেট অর্থাৎ যে হারে আরবিআই ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়, তার হার বৃদ্ধি করায় একাধিক বেসরকারি ব্যাঙ্কও সুদের হার বাড়ায়। গত মাসেই আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের তরফে ঋণে সুদের হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮.৬০ শতাংশ করা হয়। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক তাদের সুদের হার ৬.৯০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৪০ শতাংশ করে। ব্যাঙ্ক অব বরোদা সুদের হার বাড়ায় ৭.৪০ শতাংশ। ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াও সুদের হার বাড়িয়ে ৭.৭৫ শতাংশ করেছে।