নয়া দিল্লি: ৬০ পেরলেই অবসর। অনেকে ৪৫ বা ৫০ বছর বয়সেই অবসরের পথে পা বাড়ান। তবে অবসর নিলেই তো হল না। অবসর জীবন যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলে, তার জন্য ব্যাঙ্কে সেই পরিমাণ জমা টাকা বা পেনশনের দরকার। চাকরি জীবনে সবাই অর্থ সঞ্চয় করে শুধুমাত্র ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে। অর্থ সঞ্চয়ের অন্যতম একটি অপশন হল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফও। এই ফান্ডে কম-বেশি সকল চাকরিজীবীরই টাকা জমা রাখা থাকে, তবে অবসর গ্রহণের পর হাতে কত টাকা পাবেন বা পেনশন বাবদ কত পাবেন, জানেন?
বেসরকারি অফিসে যারা কাজ করেন, তাদের বেতনের ১২ শতাংশ পিএফ অ্যাকাউন্টে যায়। একইভাবে কোম্পানিও সমান টাকা জমা দেয়। এর মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন তহবিলে এবং বাকি ৩.৬৭ শতাংশ পিএফ-এ জমা হয়।
ইপিএফও (EPFO)-র নিয়ম অনুসারে, যদি আপনি ১০ বছর ধরে পিএফ (PF) অ্যাকাউন্টে টাকা রাখেন, তবে আপনি পেনশন পাওয়ার জন্য গ্রহণযোগ্য হন। যদি ৫৮ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করেন, তবে সম্পূর্ণ পেনশন পাবেন। যদি আপনি ৫৮ বছর পর পেনশন দাবি না করেন এবং ৬০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করেন, তবে প্রতি বছর ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, অর্থাৎ ৬০ বছর বয়সে আপনি ৮ শতাংশের বেশি পেনশন পাবেন। কিন্তু আপনি যদি ৫০ বছর বয়সে পেনশন তুলতে চান, তবে এর থেকে ৪ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে।
EPFO-এর বর্তমান নিয়ম অনুসারে, পেনশনযোগ্য বেতনের সর্বোচ্চ সীমা ১৫,০০০ টাকা। এর মানে হল প্রতি মাসে আপনার পেনশন তহবিলে ১৫,০০০ টাকা x ৮.৩৩/১০০ = ১,২৫০ টাকা জমা করা যেতে পারে।
ধরুন, আপনি যদি ২৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন এবং ৫৮ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন, তাহলে আপনি মোট ৩৫ বছর ধরে কাজ করেছেন। এই ক্ষেত্রে, পেনশনযোগ্য বেতন হবে ১৫,০০০ টাকা, চাকরির মেয়াদ ৩৫ বছর, তাই পেনশন হবে ১৫,০০০ x ৩৫/৭০ = ৭,৫০০ টাকা প্রতি মাসে। একই সময়ে, যদি আপনি ৬০ বছর বয়সে পেনশন দাবি করেন, তাহলে তার উপর ৮ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাবে।
এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, পিএফ পেনশনের হিসাব শেষ ৬০ মাসের গড় বেতনের উপর ভিত্তি করে করা হয়।