কলকাতা: বিশ্বকাপ জ্বরে ফুটছে গোটা দেশ। দেশের বড় বড় শহর, বিশেষত যেখানে ভারতের খেলা রয়েছে, বা ছিল সেখানে হোটেলগুলিতে তিল ধারনের জায়গা নেই। প্লেন, ট্রেনের টিকিটের চাহিদাও তুঙ্গে। এ রাজ্য থেকে ও রাজ্যে ছুটে আম-আদমি। গ্যালারিতে জায়গা না পেলেও স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে গলা ফাটাতেও দূর-দূরান্ত পাড়ি দিচ্ছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। এদিকে বিশ্বকাপ শেষ হলেই শুরু হবে ফেস্টিভ্যাল টুরিজম। ওটাও শেষমেষ মার যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আশার আলো দেখছে দেশের পর্যটন সংস্থাগুলি।
এতদিন পর্যটন সংস্থাগুলি মরসুমে ফেস্টিভ্যাল টুরিজমের জন্য ৩১ জানুয়ারি ডেডলাইন ধরে রাখতো। অল ইন্ডিয়া টুরস অ্যান্ড ট্যাভেলস ফেডারেশনের আশা যে এইবারে তা ফেব্রুয়ারি পেরিয়েও গড়াবে। এবার ফেস্টিভ্যাল শপিংও নতুন রেকর্ড তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন মনে করছিল যে অগাস্ট থেকে শুরু হয়ে জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে ৩ লক্ষ কোটি টাকার কেনাকাটা হবে। বুধবার সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে প্রত্যাশা ছাপিয়ে কেনাকাটার বহর আরও বাড়তে পারে।
ভাল খবর হল শুধু বড় ব্যবসায়ী বা শো-রুমই নয়। লক্ষ লক্ষ ছোট ব্যবসায়ীও এবছর চুটিয়ে ব্যবসা করছেন। অর্থনীতির স্বার্থে, আমাদের সবার স্বার্থেই যেটা জরুরি বলেই মত অর্থনীতিবিদদের। পর্যটন ও কেনাকাটার বাইরে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ভরসার আরও একটা জায়গা আছে। সেটা অবশ্যই বিয়ে। কোভিড কাঁটায় বিগত কয়েক বছরে বিয়ের অনুষ্ঠানে মারাত্মকভাবে ছেদ পড়েছিল। কিন্তু, বিষাদের মেঘ সরে উঠেছে নতুন সূর্য। পরিসংখ্যান বলছে, কোভিড যাওয়ার পর থেকে রেকর্ড মাত্রা বাড়ছে বিয়ের বাজার। আপাতত যা তথ্য এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি শুধু বিয়ে ঘিরেই আড়াই লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হতে চলেছে। পুজো, দীপাবলি এবং নিউ ইয়ারের উৎসবে টেক্কা দিয়ে লেনদেনের নিরিখে এক নম্বরে চলে আসতে পারে দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান ওয়েডিং। এখন দেখার বর্ষ শেষের পরিসংখ্যান কী বলে।