নয়া দিল্লি: ভারতে প্রতি বছর এক হাজারের বেশি সিনেমা মুক্তি পায়। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয় এই বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে সেই চলচ্চিত্র শিল্প যে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, তা বেশ উদ্বেগজনক। চুরি বা পাইরেসির জন্য যে এই ক্ষেত্রে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে, সেই অভিযোগ উঠেছে বারবার। কিন্তু এত বিপুল ক্ষতির কথা বোধ হয় প্রকাশ্যে আসেনি আগে। বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই সংক্রান্ত বড় তথ্য উঠে এসেছে।
কনসালটেন্সি ফার্ম ‘ইওয়াই’ এবং ‘ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’ (আইএএমএআই) তাদের ‘দ্য রব রিপোর্ট’-এ বলেছে যে ২০২৩ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং বিনোদন শিল্পে ২২,৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
‘দ্য রব রিপোর্ট’ বলেছে যে ভারতে গ্রাহক তথা দর্শকদের ৫১ শতাংশই অবৈধভাবে ছবি বা ওয়েব সিরিজ হাতে পেয়ে যাচ্ছেন। মোট পাইরেটেড পণ্যের মধ্যে ৬৩ শতাংশ অনলাইন প্লাটফর্মে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আয়ের দিক থেকে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম শিল্প হল এই বিনোদন।
দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন সিনেমা হলে সিনেমা মোবাইলে রেকর্ড করার ফলে ১৩,৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ওটিটি (OTT) প্লাটফর্ম থেকে পাইরেসির কারণে ৮,৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে দেশটির সরকারও ৪,৩০০ কোটি টাকার জিএসটি সংগ্রহের ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আসলে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করে একটি ছবি বা ওয়েব সিরিজ বা গান যদি সংগ্রহ করা হয়, তাহলে তাকেই পাইরেসি বলে। সম্প্রতি এই পাইরেসির প্রবণতা অনেক বেড়েছে।