গৃহস্থদের জন্য সুখবর। আগামী ছয় মাস ভোজ্য তেলের আমদানি শুল্কে ছাড়ের মেয়াদ বাড়াল অর্থ মন্ত্রণালয়। ২০২৩ সালের মার্চ মাস অবধি তা বাড়ানো হল। ভোজ্য তেলের অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়ানো ও দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকারের তরফে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর্স অ্য়াসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (SEA) বলেছে, ‘ক্রুড পাম অয়েল, আরবিডি পামোলিন, আরবিডি পাম অয়েল, ক্রুড সয়াবিন অয়েল, রিফাইন্ড সয়াবিন অয়েল, ক্রুড সানফ্লাওয়ার অয়েল ও রিফাইন্ড সানফ্লাওয়ার অয়েলের উপর বর্তমান শুল্ক কাঠামো ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ অবধি অপরিবর্তিত থাকবে।’
বর্তমানে অপরিশোধিত পাম তেল, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেলের উপর আমদানি শুল্ক শূন্য। তবে এই অপরিশোধিত তেলের প্রকারভেদের উপর ৫ শতাংশ কৃষি কর ও ১০ শতাংশ সামাজিক কল্যাণ কর নির্ধারণ করে মোট কার্যকর শুল্ক ধরা হচ্ছে ৫.৫ শতাংশ। পরিশোধিত পামোলিন ও পাম তেলের উপর মৌলিক শুল্ক ১২.৫ শতাংশ। যেখানে সামাজিক কল্যাণ সেস ১০ শতাংশ। অতএব মোট কার্যকর শুল্ক হল ১৩.৭৫ শতাংশ। পরিশোধিত সয়াবিন এবং সূর্যমুখী তেলের উপর মূল শুল্ক ১৭.৫ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ সামাজিক কল্যাণ সেস নিয়ে মোট কার্যকর শুল্ক হয় ১৯.২৫ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববাজারে দাম কমেছে ভোজ্য তেলের। এর পাশাপাশি ভোজ্য তেলে কমানো হয়েছে আমদানি শুল্কও। ফলে দেশীয় বাজারে ভোজ্য তেলের দামও কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এবং খাদ্য মন্ত্রকের তরফে তেল সংস্থাগুলিকে বিশ্বব্যাপী তেলের দামের পতনের সুবিধাগুলি দেশের গ্রাহকদের কাছেও পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়েছিল অনেকখানি। তারপর ভোজ্যতেলের দাম বেশি থাকায় গত কয়েক বছর ধরেই দেশীয় বাজারে পাম তেলের উপলভ্যতার জন্য বিভিন্ন সময়ে আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। এবার সেই আমদানি শুল্ক আগামী ৬ মাস অপরিবর্তিত রাখার কথা জানানো হল সরকারের তরফে।