নয়া দিল্লি: বাজার থেকে বিদায় নিতে চলেছে ২০০০ টাকার নোট (2000 Rs Note)। শুক্রবার রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক অব ইন্ডিয়া(Reserve Bank of India)-র তরফে জানানো হয়েছে এই সিদ্ধান্তের কথা। আরবিআই-র তরফে জানানো হয়েছে, নতুন করে আর ২০০০ টাকার নোট ছাপানো হবে না। বাজারে থাকা ২০০০ টাকার নোটও প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষের কাছে যে ২০০০ টাকা নোট রয়েছে, তাও আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বদল করে নিতে হবে। আগামী ২৩ মে থেকেই সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে এই নোট বদল করা যাবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তকে অনেকে ছোট-খাটো নোটবন্দিও (Note Ban) বলছেন। নোটবন্দি শব্দটার সঙ্গে সাধারণ মানুষ পরিচিত হয়েছিল ২০১৬ সালে। সেই বছরের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার ঘোষণা করেন। বাজারে কালো টাকার ব্যবহার রুখতেই কেন্দ্রের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন, ২০১৬ সালেই প্রথম ডিমনিটাইজেশন (Demonetization) বা নোটবন্দি হয়েছিল। কিন্তু এটা সঠিক তথ্য নয়। নোটবন্দির ইতিহাস অনেক পুরনো। এমনকী স্বাধীনতার আগেও নোটবন্দি হয়েছিল।
দেশে প্রথমবার নোটবন্দি হয়েছিল স্বাধীনতার আগের বছর, ১৯৪৬ সালে। সেই সময় দেশে ১০ হাজার টাকার নোটের চলন ছিল। কিন্তু এত বড় অঙ্কের লেনদেন না হওয়ার কারণেই বাজার থেকে ওই নোট প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৪৬ সালের ১২ জানুয়ারি গভর্নর জেনারেল স্যর আর্চিবল্ড ওয়েভেল ৫০০, ১০০০ ও ১০,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন। বাজারে সেই সময় শুধু ১০০ টাকার নোট চালু ছিল।
১৯৪৬ সালে নোটবন্দির ৩১ বছর পর ১৯৭৮ সালে ফের নোটবন্দি হয়। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মোরারজি দেশাই। ১৯৭৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ১০০০, ৫০০০ ও ১০,০০০ টাকার নোট প্রত্য়াহারের ঘোষণা করেন। সেই সময়ও কালো টাকার ব্যবহার রুখতেই নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
১৯৭৮ সালের পর দেশে তৃতীয়বারের জন্য নোটবন্দি হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে, ২০১৬ সালে। কালো টাকা রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করেন। এর বদলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে নতুন ৫০০ টাকা ও ২০০০ টাকার নোট আনা হয়।