নয়া দিল্লি: ই-কমার্স জগতে আলোড়ন তুলেছে ফ্লিপকার্ট। অনলাইন শপিংয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষেই রয়েছে ফ্লিপকার্টের নাম। প্রথমে জামাকাপড়, ইলেকট্রনিক পণ্য ডেলিভারি দিয়ে যাত্রা শুরু করে, বর্তমানে মুদি সামগ্রীর ডেলিভারি থেকে শুরু করে বিমানের টিকিট, সবকিছুই পাওয়া যায় ফ্লিপকার্টে। এবার নিজেদের বাণিজ্য়ের আরও বিস্তার করতে চলেছে ফ্লিপকার্ট, শীঘ্রই ই-কমার্স সাইট হোটেল বুকিং পরিষেবাও চালু করবে বলে জানা গিয়েছে।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পর্যটন ক্ষেত্রে নিজেদের ব্যবসা আরও বিস্তার করতে বিমানের টিকিটের পাশাপাশি এবার হোটেল বুকিংয়ের পরিষেবাও চালু করা হবে। দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ৩ লক্ষেরও বেশি হোটেলের বুকিং এবার ফ্লিপকার্টের মাধ্যমে করা যাবে। এই বিষয়ে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, নির্ঝঞ্চাট ভ্রমণের জন্য় হোটেলের বুকিং নিয়ে যাবতীয় সমস্যার সমাধান করবে ফ্লিপকার্টের পরিষেবা। ফ্লিপকার্টের মাধ্যমে হোটেল বুকিংয়ের আরও একটি সুবিধা হল এতে একদিকে যেমন কম খরচে ভাল হোটেল পাওয়া যাবে, তেমনই আবার ইএমআইয়ের সুবিধাও পাওয়া যাবে।
জানা গিয়েছে, ক্লিয়ারট্রিপের সঙ্গে মিলিতভাবেই ফ্লিপকার্টের হোটেল বুকিং পরিষেবা চালু করা হবে। এই প্ল্যাটফর্মে থার্ড পার্টি সংস্থা বা হোটেলের অফারও দেখতে পাবেন গ্রাহকরা। ফ্লিপকার্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আদর্শ মেনন বলেন, “ফ্লিপকার্ট অ্যাপে ফ্লিপকার্ট হোটেলস পরিষেবা চালু করার জন্য আমরা উদগ্রীব। এই পরিষেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা নিজেদের সাধ্যমতো পছন্দসই হোটেল বেছে নিতে পারবেন। ইতিমধ্যেই ফ্লিপকার্ট ফ্লাইটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ফ্লিপকার্ট হোটেলের মাধ্যমে আমরা পর্যটন শিল্পে আরও পাকা জায়গা তৈরি করে নেবে।”
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ফ্লিপকার্ট হোটেলের বুকিং সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আলাদাভাবে একটি কাস্টমার কেয়ার তৈরি করা হবে। ২০২২ সালে অন্তর্দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে যেভাবে হোটেলের চাহিদা বেড়েছে, সেই কথা মাথায় রেখেই এই সময়ে প্রতিযোগীতার বাজারে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্লিপকার্ট। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে অফবিট জায়গাগুলিতে পরিবার বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছুটি, এমনকী ওয়ার্কেশন (ঘুরতে গিয়ে কাজ) -র জন্য যাওয়ার প্রবণতা বাড়ায়, হোটেলের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে।