নয়া দিল্লি: এপ্রিল মাসে খটখটে গরম। বাইরে বের হলেই গাত্রদাহ হচ্ছে। গ্রীষ্মকালে একটু স্বস্তি পেতে এসি ব্যবহার করাই স্বাভাবিক। অনেকেই আবার বিদ্যুৎ বিল নিয়ে চিন্তিত থাকেন, কারণ এসি চালালেই চড়চড়িয়ে বাড়ে বিল। তবে অনেকেই জানেন না যে বিশেষ কিছু পদ্ধতি রয়েছে, যা অবলম্বন করলে এসি ব্যবহারের পরও বিদ্যুতের বিল নিয়ন্ত্রণের রাখা সম্ভব। এমনই ৫টি পদ্ধতি জেনে নিন, যাতে এসি চালালেও বিল বেশি আসবে না।
এসি ব্যবহারের সময় সঠিক তাপমাত্রার সেটিং রাখলে, বিদ্যুতের খরচ কমানো সম্ভব। বেশিরভাগ মানুষই এসি খুব কম তাপমাত্রায় সেট করেন। যার কারণে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে। এসি ২৪-২৬ ডিগ্রির মধ্যে সেট করা উচিত। এটি ঘর ঠান্ডা রাখে এবং বিদ্যুৎ খরচ কমায়।
এসি ফিল্টারে ধুলো জমে থাকার কারণে এর বায়ুপ্রবাহ কমে যায়। যার কারণে এসির কম্প্রেসারের উপর চাপ পড়ে। এতে বিদ্যুৎ খরচ বৃদ্ধি পায়। অতএব, প্রতি মাসে এসি ফিল্টারটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন বা প্রয়োজনে বদলান। এতে এসির কর্মক্ষমতা ভালো রাখে। বিদ্যুৎ বিল কম থাকে এবং এসির রক্ষণাবেক্ষণও হয়।
এসির খরচ কমানোর জন্য ঘরে বায়ুপ্রবাহ বা বায়ু চলাচল সঠিক দিকে হওয়া উচিত। জানালা বা দরজা খোলা থাকলে গরম বাতাস ভেতরে আসবে। যার কারণে এসি চালিয়েও ঘর ঠান্ডা হতে সময় লাগে। তাই এসি চালানোর সময় ঘরের জানালা এবং দরজা বন্ধ রাখুন। এসির ভেন্টিলেশনের দিকে নজর দিন।
এসি চালানোর সময় যদি ঘরে ফ্যান চালান, তাহলে ঘর দ্রুত শীতল হবে এবং এসির উপর খুব বেশি চাপ পড়বে না। ঘর দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডাও থাকবে। এতে ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে। এসির উপর চাপ কমে।
বিনা প্রয়োজনে কখনই এসি চালাবেন না। যদি আপনি ঘরে না থাকেন, তাহলে অবশ্যই এসি বন্ধ করে রাখুন। ঘরের তাপমাত্রা ঠান্ডা হয়ে গেলে, এসির সেটিংস বাড়িয়ে দিন। যদি রাতে হালকা শীতলতা চান, তাহলে এসির টাইমার সেটিং ব্যবহার করুন, যাতে কিছুক্ষণ পর এসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এটি বিদ্যুৎ খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এসি ব্যবহারের সময় যদি আপনি এই বিষয়গুলি মনে রাখেন, তাহলে আপনার বিদ্যুৎ বিল কম থাকবে।