Gautam Adani, 26/11 Night: পাক জঙ্গিদের কবলে গৌতম আদানি, এক কাপ কফিই বাঁচাল প্রাণ!
Pakistani Terrorist, 26/11 Night: গৌতম আদানি আজও মনে করেন, তিনি ডিনারের পর সঙ্গীদের অনুরোধ উপেক্ষা করে চলে এলে হয়তো হোটেলের লবিতেই জঙ্গিদের মুখোমুখি হতেন।

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরের রাত। এক রক্তাক্ত ইতিহাসের সাক্ষী বাণিজ্যনগরী মুম্বই। পাকিস্তানি জঙ্গিদের একের পর এক হামলায় কেঁপে উঠেছিল গোটা শহর। আর সেই রাতেই মুম্বাইয়ের ঐতিহ্যবাহী তাজ মহল প্যালেস হোটেলে ছিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।
সেই রাতে আদানির সঙ্গে তাজ হোটেলে ছিলেন দুবাই পোর্টসের (ডিপি ওয়ার্ল্ড) সিইও মোহাম্মদ শরাফ ও আরও কয়েকজন। তাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন ডিনার করতে। খাওয়া শেষ হলে বিল মিটিয়ে উঠেই যেতেন তাঁরা। কিন্তু একেই হয়ত বলে ভাগ্যের খেলা। সেদিন টেবিলে বসা আদানির সঙ্গীরা তাঁকে আরও এককাপ কফি খাওয়ার অনুরোধ করেন। আর তখন তাঁর এই কফি খাওয়ার সিদ্ধান্তই পরবর্তীতে তাঁর জীবন বাঁচায়।
জানা যায়, তাঁদের টেবিলে কফি সার্ভ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ করেই ভেসে আসে গুলির শব্দ। তার সঙ্গে গোটা রেস্তোরাঁ কেঁপে ওঠে বিস্ফোরণের আওয়াজে। চারদিকে তখন চিৎকার আর আতঙ্ক। তাজ হোটেলের ভিতর তখন ঢুকে পড়েছে সশস্ত্র পাকিস্তানি জঙ্গিরা।
হোটেলের কর্মীরা বিপদ বুঝে সময় নষ্ট না করে অতিথিদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে শুরু করেন। গৌতম আদানি ও তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের কিচেনের ভেতর দিয়ে বেসমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতভর শতাধিক অতিথি ওই বেসমেন্টেই ছিলেন। প্রাণ ভয়ে, আতঙ্কে কেউ সোফার নিচে লুকিয়ে ছিলেন, আবার কেউ বা ছিলেন দেয়ালের কোণে গুটিসুটি মেরে। সেই রাতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা স্মরণ করে গৌতম আদানি পরে বলেন, “সেদিন যদি বেরিয়ে পড়তাম, তাহলে নিশ্চিত ওই আক্রমণের মধ্যেই পড়ে যেতাম”।
২৭ নভেম্বর সকালে, NSG কম্যান্ডো ও মুম্বাই পুলিশের অভিযানের পর তাজ হোটেল থেকে অতিথিদের একে একে বের করে নিয়ে আসা হয়। জানা যায়, সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যেই বের করে নিয়ে আসা হয় গৌতম আদানিকেও। তারপর ঘটনা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নথিবদ্ধ করার জন্য আজাদ ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানের কাজ শেষ হলে, বিকেলের বিমানে আহমেদাবাদ ফিরে যান আদানি।
গৌতম আদানি আজও মনে করেন, তিনি ডিনারের পর সঙ্গীদের অনুরোধ উপেক্ষা করে চলে এলে হয়তো হোটেলের লবিতেই জঙ্গিদের মুখোমুখি হতেন। তাঁর কথায়, এক কাপ কফিই তাঁকে নতুন জীবন দিয়েছিল।
