নয়া দিল্লি: সোনা বা রুপো দিয়ে শুধুমাত্র অলঙ্কার তৈরি হয় তাই নয়, এই ধাতুতে বিনিয়োগও করেন দেশের বহু মানুষ। এই সব ধাতু দাম সাধারণত বাড়তে থাকে, ফলে বিনিয়োগ করে লাভবান হন অনেকেই। তাই বিয়ের মরসুম ছাড়াও সোনার দামের দিকে নজর থাকে অনেকের। রবিবারই সোনার দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। আবার সোমবার দেখা যায়, দাম মোটামুটিভাবে অপরিবর্তিতই আছে। প্রতিদিন দামের কিছুটা হেরফের হয়। তবে এবার বাজেটে দাম কমতে পারে একধাক্কায় অনেকটাই। এমনই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
বাজেটের আগে জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যাতে সোনার ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক কমানো হয়। পালিশ করার হিরের ক্ষেত্রেও শুল্ক কমানোর আর্জি জানানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, অন্তবর্তী বাজেটে গয়না শিল্পের ক্ষেত্রে বড় ঘোষণা করা হবে। ভারতে এই শিল্প নির্ভর করে মূলত আমদানি করা সোনা, হিরে, রুপো ও অন্যান্য পাথরের ওপর।
বর্তমানে মূল্যবান ধাতুর ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক নেওয়া হয়। সেটা কমিয়ে ৪ শতাংশ করার আর্জি জানিয়েছে জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল। এছাড়া কাস্টম ডিউটিও অর্ধের করার আর্জি জানানো হয়েছে। বর্তমানে এই ধরনের ধাতুর ক্ষেত্রে কাস্টম ডিউটি নেওয়া হয় ৫ শতাংশ, সেটা কমিয়ে আড়াই শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কাউন্সিল দাবি করেছে, হিরে ব্যবসার ক্ষেত্রে যাতে সুবিধা হয়, আরও বেশি মানুষের যাতে কর্মসংস্থান হয়, সেই উদ্যোগ নিচ্ছে তারা।