আয়কর জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩১ জুলাই। আয়কর রিটার্ন যা জমা পড়ার সব পড়ে গিয়েছে আয়কর দফতরে। এখন পালা আয়কর দফতরের সেই আয়কর রিটার্নগুলি খতিয়ে দেখার। এরপর গত অর্থবর্ষে যাঁদের টিডিএস কাটা হয়েছে সেই রিফান্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে দফতরের তরফে। কোনও কোনও আয়কর দাতা হয়তো রিফান্ড পেয়ে গিয়েছেন। কেউ কেউ রিফান্ডের বদলে হয়ত পেয়েছেন নোটিস। এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয় যখন আয় ও করের হিসেবনিকেশ সঠিকভাবে করা হয় না।
আয়কর রিটার্ন কীভাবে খতিয়ে দেখছে আইটি ডিপার্টমেন্ট
এইবার আইটি ডিপার্টমেন্ট আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভিত্তিক সফটওয়্যারের মাধ্য়মে আইটি রিটার্নের স্ক্রুটিনি করছে। এর ভিত্তিতেই করদাতাদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। আয়কর আইনের বিভিন্ন বিভাগে যদি দাবি করা হয়ে থাকে, তাহলে নোটিস মিলতে পারে করদাতাদের। এক্ষেত্রে করদাতাদের পুনরায় আয়কর রিটার্নটি যাচাই করতে হবে।
২০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা!
আয়কর আইন ৮০ জি অনুসারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচের জন্য কর ছাড় পাওয়া যায়। ছোটো ব্যবসায়ী বা করদাতারা এই ধারার অধীনে কর ছাড়ের দাবি জানালে বেশি করে নোটিস পেয়ে থাকেন। এই ক্ষেত্রের মধ্যে আসে কোনও রিলিফ ফান্ড বা চ্যারিটেবল ফান্ড। এহেন পরিস্থিতিতে বেতনভুক বা ব্য়বসায়ী- যে শ্রেণিরই হয়ে থাক না কেন যদি হিসেব ভুল হয় এবং যদি আয়ের ভুল হিসেব দেওয়া হয় তাহলে আয়কর দফতরের তরফে মিলতে পারে নোটিস। এসব ক্ষেত্রে ২০০ শতাংশ জরিমানাও হতে পারে।
নোটিস পেলে কী করবেন?
আয়কর দফতর থেকে নোটিস পেলে সবার আগে বিনিয়োগ হিসেবে দেখানো কাগজপত্রগুলি সংগ্রহ করুন। তার ভিত্তিতে নোটিস পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পুনরায় আইটিআর ফাইল করুন। কেউ বেতনভুক কর্মচারী থাকলে ফর্ম-১৬ এ দেখানো কর ছাড়ের বিষয়ে উল্লেখ করতে হবে। ITR-র 26AS দেওয়া সব টাকা কেটে নেওয়ার তথ্য এক জায়গায় করুন।