নয়া দিল্লি: বিশ্বর ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম দশে রইলেন না গৌতম আদানি (Gautam Adani)। ‘ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার’ শীর্ষক যে তালিকা প্রকাশ হয়, সেখানে চতুর্থ স্থানে ছিলেন আদানি। তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদের ভিত্তিতে সেই তালিকায় পিছিয়ে গিয়েছেন তিনি। একধাক্কায় একাদশ স্থানে নেমে এসেছেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার। গত তিনদিনের ব্যবসার নিরিখেই স্থান পরিবর্তন হয়েছে আদানি। এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির স্থানও তিনি হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রিপোর্ট বলছে, তিন দিনে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার হারিয়েছেন আদানি।
বর্তমানে গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ৮ হাজার ৪৪০ কোটি ডলার। রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ অম্বানীর তুলনায় মাত্র এক ধাপ এগিয়ে আছেন তিনি। অম্বানীর সম্পত্তি ৮ হাজার ২২০ কোটি ডলার।
মাইক্রোসফট সিইও স্টিভ বালমের, মেক্সিকোর কার্লোস স্লিম, গুগলের কো ফাউন্ডার সার্জাই ব্রিনের পিছনে চলে গিয়েছেন আদানি। গত বুধবার হিন্ডেনবার্গে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। করে আদানিদের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে। সেখানে বলা হয়েছে, শেয়ার বাজারে নিজেদের দর কৃত্রিম ভাবে বাড়িয়ে রেখেছে বলে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে হিন্ডেনবার্গ। অর্থাৎ আদানির সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আর এবার ধাক্কা খেল আদানি গোষ্ঠী।
তবে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির তকমা এখনও রয়েছে আদানির হাতেই। তবে মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট সামনে আসার পরই দেশের প্রথম সারির শিল্পপতি গৌতম আদানি কার্যত বিপর্যয়ের মুখে পড়েন। একধাক্কায় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে আদানির সংস্থাকে। শেয়ারেও নেমেছে ধস। তবে আদানি গোষ্ঠীর তরফে দাবি করা হয়েছে, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট ভুল।