নয়া দিল্লি: কর আদায়ে আর ফাসট্যাগ (FAStag) নয়, এবার সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতি আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার, যাতে করদাতারাই বেশি উপকৃত হবে। ২০২১ সালেই গোটা দেশে টোল প্লাজায় কর দেওয়ার জন্য চালু করা হয়েছিল ফাসট্যাগ পদ্ধতি। গাড়িতে লাগানো স্টিকার স্ক্যান করেই নির্দিষ্ট পরিমাণ কর কেটে নেওয়া হত ফাসট্য়াগ অ্যাকাউন্ট থেকে। তবে এই টোল বা কর একটি টোল প্লাজা থেকে পরবর্তী টোল প্লাজার দূরত্বের হিসাব করে নেওয়া হত। কিন্তু অনেক গাড়িই দ্বিতীয় টোল প্লাজা অবধি দূরত্বে যায় না। সেক্ষেত্রে তাদের অতিরিক্ত কর দিতে হত। এবার করদাতাদের সাশ্রয় করাতেই ফাসট্যাগের বদলে জিপিএস স্যাটেলাইট প্রযুক্তি (GPS Satellite) ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সূত্রে।
সূত্রের খবর, এই পাইলট প্রকল্পের ইতিমধ্য়েই ট্রায়াল রান চলছে দেশে। শীঘ্রই জিপিএসে দেখানে অতিক্রান্ত দূরত্বের উপরে নির্ভর করেই গাড়ির চালককে সেই মতো কর বা টোল দিতে হবে। হাইওয়েতে কত কিলোমিটার চলছে গাড়িটি, তার উপর নির্ভর করে গাড়ির চালককে কর দিতে হবে।
চলতি বছরের মার্চ মাসেই কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী সংসদের লোকসভায় বলেছিলেন, এক বছরের মধ্যে দেশ থেকে টোল প্লাজা বা বুথ তুলে দেওয়া হবে। আধুনিক প্রযুক্তির উপর নির্ভর করেই কর আদায় করা হবে হাইওয়ে ও এক্সপ্রেসওয়েতে। টোল বুথের জায়গায় চালু করা হবে জিপিএস ভিত্তিক টোল সংগ্রহ পদ্ধতি, যা চলন্ত গাড়ির জিপিএস ইমেজিংয়ের মাধ্যমেই টোল সংগ্রহ করে নেবে।
ইউরোপে যেমন জিপিএস পদ্ধতির ভিত্তিতে কর সংগ্রহ করা হয়, সেভাবেই ভারতেও এবার থেকে কর সংগ্রহ করা হবে। বর্তমানে হাইওয়ে বা এক্সপ্রেসওয়েতে এক টোল প্লাজা থেকে পরবর্তী টোল প্লাজা অবধি কর সংগ্রহ করা হয়। সেক্ষেত্রে কোনও গাড়ি যদি পরবর্তী টোল প্লাজার দূরত্ব অবধি নাও যায়, তবুও তাকে পুরো টোলই দিতে হয়। জিপিএস নির্ভর টোল সংগ্রহ শুরু হলে, গাড়িটি যতটা পথ অতিক্রম করবে, কেবল ততটুকু দূরত্বের জন্যই কর দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রথম ফাসট্য়াগ পদ্ধতি ভারতে আনা হয়েছিল। টোল প্লাজার ভিড় কমাতে ও সহজেই কর সংগ্রহ করতেই এই পদ্ধতি আনা হয়। গত বছর থেকে পুরোপুরিভাবে এই পদ্ধতি চালু হয়, সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে টোল সংগ্রহ শুরু হয়।ফাস্ট্যাগ পদ্ধতিতে প্রত্যেক গাড়িতে লাগানো স্টিকার টোল প্লাজ়া দিয়ে গাড়ি গেলেই, রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফাস্ট্যাগ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়।অ্যাকাউন্টে টাকা ফুরিয়ে গেলে টোল প্লাজ়া থেকেই ফের টাকা রিচার্জ করার ব্য়বস্থাও রয়েছে।