Beedi: অন্যের সুখ-টানেও সংসারে টান…, বিড়ি শ্রমিকদের হাঁড়ির খবর জানেন?

Beedi Industry: একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে এই ক্ষুদ্র শিল্পের বিস্তার। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা। অনেক ক্ষেত্রে বিড়ি বানিয়েই সংসার টানতে হয়। অন্যের সুখ-টানেও সংসার টানতে হিমসিম পরিস্থিতি বিড়ি শ্রমিকদের। কেন এই পরিস্থিতি?

Beedi: অন্যের সুখ-টানেও সংসারে টান..., বিড়ি শ্রমিকদের হাঁড়ির খবর জানেন?
Image Credit source: Debajyoti Chakraborty/NurPhoto via Getty Images

Dec 08, 2024 | 7:43 PM

ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। একথা কে না জানেন। তাতে অবশ্য ধূমপান বন্ধ হয়নি। অন্য দিক থেকে ভাবলে, এর সঙ্গে যুক্ত অনেকের জীবন-জীবিকাও নির্ভর করে এর উপর। কিন্তু ছোট শিল্পের ক্ষেত্রে টিকে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। ধূমপান কমেনি। অন্য সমস্যায় জর্জরিত বিড়ি শিল্প। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল, এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে এই ক্ষুদ্র শিল্পের বিস্তার। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা। অনেক ক্ষেত্রে বিড়ি বানিয়েই সংসার টানতে হয়। অন্যের সুখ-টানেও সংসার টানতে হিমসিম পরিস্থিতি বিড়ি শ্রমিকদের। কেন এই পরিস্থিতি?

২০১৭ সালে কার্যকর হয়েছে গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (GST)। বিভিন্ন দ্রব্যের জন্য আলাদা স্ল্যাব রয়েছে। সর্বাধিক ট্যাক্স ২৮ শতাংশ। আর এই ২৮ শতাংশের স্ল্যাবেই রয়েছে বিড়ি। স্বাভাবিক ভাবেই দাম বাড়াতে হয়েছে। তাতেও উৎপাদন খরচ, শ্রমিকের মজুরি সব কিছু মানিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ক্ষুদ্র শিল্পে ট্যাক্সের সর্বাধিক স্ল্যাব থাকায় সমস্যায় পড়েছেন এর সঙ্গে যুক্ত সকলেই। ট্যাক্স বাড়ার ফলে আয় কমেছে শ্রমিকদের। অনেকেই রয়েছেন যাঁরা উৎপাদন অনুযায়ী আয় করেন।

উদাহরণ হিসেবে ধরে নেওয়া যাক, ১০০ বিড়ি বানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ৫০ টাকা পেয়ে থাকেন। কিন্তু ট্যাক্স বাড়ার পর থেকে তাদের আয়ের পরিমাণ বানেনি। এর কারণ, উৎপাদন খরচ এবং বিক্রির মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শ্রমিকরাই। পশ্চিমবঙ্গের এক বিড়ি শ্রমিকের কথায়, ‘উৎপাদনের খরচ অনেক বেড়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের নুন আনতে পান্তা খাবার জোগার।’

বিড়ি শ্রমিকের ক্ষেত্রে আরও একটি বড় সমস্যা, তারা এই কাজটাই বছরের পর বছর করে আসায়, বিকল্প পথও খুঁজে পাচ্ছেন না। যেটা থেকে উপার্জন বাড়ানো যায়। আবার অনেকের কাছে এটি শুধুই টাকা উপার্জনের পথ নয়। বরং বিড়ি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখারও লড়াই। কিন্তু ট্যাক্সের ক্ষেত্রে বিকল্প কোনও সমাধান না হলে হয়তো এই শিল্প চিরতরে হারিয়েই যাবে। অনেক পরিবারই এই শিল্পের উপর নির্ভরশীল। সুখ-টানেও সুখ নেই ওদের।