গুজরাট: এতদিন উপায় ছিল না। এবার সুযোগটা আসছে। স্বপ্নপূরণের জন্য যেতে হবে না বিদেশে। গুজরাট (Gujarat) সরকারের পর্যটন দফতর শুরু করে দিয়েছে সাবমেরিন ট্যুরিজম (Submarine Tourism)। দ্বারকা উপকূলে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে সমুদ্রের নিচে। বলা হচ্ছে, ভাগ্য সহায় হলে শ্রীকৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকার ধ্বংসাবশেষের কিছুটা চোখেও পড়ে যেতে পারে। এমন একটাই চমক দিচ্ছে গুজরাট ট্যুরিজম। ইতিমধ্যেই একটি সাবমেরিন লিজে নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
৩৫ টন ওজনের এই সাবমেরিনটি ২৪ জন পর্যটককে নিয়ে সমুদ্রের একশো মিটার গভীরে যাবে। টিকিটের দাম হতে পারে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। গুজরাট সরকার বলছে, সাবমেরিনে থাকবেন অভিজ্ঞ নাবিকরা। ফলে পর্যটকদের নিরাপত্তাতে কোনও খামতি থাকবে না। জলের নিচে যখন একটা অ্যাডভেঞ্চারের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে তখন কিন্তু জলের উপরে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। তবে তা ভারতে নয়।
২৭ জানুয়ারি জলে ভাসতে চলেছে দ্বিতীয় টাইটানিক। দূর থেকে দেখলে মনে হবে মায়ানগরী। এতই তার ব্যপ্তি, এতই তার জৌলুস। এই মায়ানগরী কিন্তু মাটিতে নয়, সে ভেসে চলে নীল সাগরের বুক চিরে। একবিংশ শতাব্দীতে এটাই হয়ে উঠতে চলেছে Icon of the Seas. সমুদ্রের আইকন। টাইটানিকের দৈর্ঘ্য যেখানে ছিল ৮৮৩ ফুট, সেখানে এই প্রমোদতরীর দৈর্ঘ্য ১২০০ ফুট। টাইটানিকের ওজন যেখানে ছিল ৫২ হাজার ৩১০ টন, Icon of the Seas এর ওজন ২ লক্ষ ৫০ টন। অনেকে বলছেন আইকনে নাকি চারটি প্রমাণ সাইজের ফুটবল মাঠ ঢুকে যাবে। সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৯৫০ জন যাত্রী বহনের ক্ষমতা রয়েছে এই বিশাল জাহাজের। ২০২২ সালে ফিনল্যান্ডে জাহাজটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। তা শেষও হয়েছে। হয়েছে ট্রায়াল রানও। ২৭ জানুয়ারি ফ্লোরিডার মায়ামি থেকে যাত্রা শুরু করবে এই জাহাজ।