নয়া দিল্লি: সময় যত এগোচ্ছে, ততই আধুনিক হচ্ছে পরিষেবা। আগে কোনও জিনিস কেনাকাটির জন্য় ছুটতে হত দোকানে। কিন্তু আধুনিক সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আধুনিক হয়েছে পরিষেবাও। এখন কোনও জিনিস কেনার জন্য দোকানে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। অনলাইনেই যাবতীয় জিনিসপত্র কেনা যায়। তা সে জামাকাপড়ই হোক বা ঘর সাজানোর জিনিস কিংবা রান্নার টুকিটাকি সামগ্রী। অনলাইনে অর্ডার করার কয়েক মিনিটের মধ্যে বা কয়েকদিনের মধ্যেই তা বাড়ির দোরগোড়ায় ডেলিভার হয়ে যায়। যদি অর্ডার করা সামগ্রীতে কোনও খুঁত বের হয়, তবে তা বদলানোর সুযোগও থাকে। তবে সবকিছুরই যেমন ভাল দিক থাকে, তেমন আবার খারাপ দিকও থাকে। অনলাইনে কেনাকাটার যেমন জনপ্রিয়তা বাড়ছে, তেমনই আবার প্রতারণাও বাড়ছে। অনলাইনে কোনও ওয়েবসাইটে ক্লিক করার আগে খুব সতর্ক থাকা উচিত, কারণ একটা ভুল ক্লিকেই ফাঁকা হয়ে যেতে পারে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
ওয়েবসাইটের ইউআরএল দেখে নিন-
যেকোনও ওয়েবসাইটেই ক্লিক করার আগে তার ইউআরএল দেখে নেওয়া উচিত। ইউআরএলে যদি বানান সম্পূর্ণ ঠিক থাকে, তবে সেটি আসল ওয়েবসাইট। অন্যদিকে, ভুয়ো ওয়েবসাইটের ইউআরএল আসল ওয়েবসাইটের মতো হলেও, তাতে সামান্য কিছু ফারাক থাকবেই।
প্যাডলক সিম্বল বা প্রতীক-
যদি ওয়েবসাইটে প্যাডলক বা তালার চিহ্ন থাকে, তবে বুঝতে হবে ওয়েবসাইটটি সুরক্ষিত। সিকিওর সকেট লেয়ার সার্টিফিকেট থাকে এই ওয়েবসাইটে। অর্থাৎ এই ধরনের সিকিওর ওয়েবসাইটে ঢুকলে আপনার তথ্য সুরক্ষিত থাকবে, হ্যাকারদের হাতে আপনার কোনও গোপনীয় নথি ফাঁস হয়ে যাবে না।
পেমেন্ট পদ্ধতি-
যে ওয়েবসাইটগুলি আসল, সেখানে ক্রেডিট কার্ড, পেপ্যাল ও গিফ্ট কার্ডের মতো অপশন থাকে। অন্য়দিকে ভুয়ো ওয়েবসাইটগুলিতে অদ্ভুত কিছু পেমেন্ট পদ্ধতি থাকে, যেমন বিটকয়েন বা ওয়ার ট্রান্সফার।
ওয়েবসাইটের ডিজাইন-
আসল ওয়েবসাইট যেখানে ঝা চকচকে হয়, সেখানেই ভুয়ো ওয়েবসাইটগুলির লুক সেরকম ভাল হয় না। ভুয়ো ওয়েবসাইটে কম পিক্সেলের ছবি, টাইপো, ব্যাকরণে ভুল বা অসম্পূর্ণ লিঙ্ক থাকবে।