Dhirubhai Ambani: ভারতের বাইরে জন্ম রিলায়েন্সের, ধীরুভাইকে সেদিন সাহায্য করেছিলেন…

Mar 24, 2024 | 7:48 PM

Dhirubhai Ambani Reliance: মধ্য প্রাচ্যের দেশটিতেই থাকতেন ধীরুভাই অম্বানি এবং চম্পকলাল দামানি। তাঁরা দুজনে মিলে এমন এক ব্যবসা স্থাপনের কথা ভেবেছিলেন, যা ইয়েমেন এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনার সুবিধা নিতে পারে। গত শতাব্দীর পাঁচের দশকের শেষ দিকে, তাঁরা 'মাজিন' নামে একটি সংস্থা স্থাপন করেছিলেন।

Dhirubhai Ambani: ভারতের বাইরে জন্ম রিলায়েন্সের, ধীরুভাইকে সেদিন সাহায্য করেছিলেন...
মুকেশ ও অনিল অম্বানির সঙ্গে ধীরুভাই অম্বানি
Image Credit source: Twitter

Follow Us

মুম্বই: বর্তমানে ভারত তথা এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ অম্বানি। ২০২০ সালে এক ব্রিটিশ আদালতের সামনে নিজেকে দেউলিয়া বলে ঘোষণা করেছিলেন তাঁর ভাই অনিল অম্বানি। ২০২৪-এ এসে অবশ্য তাঁর পুনরুত্থান ঘটছে। এই দুই ভাইয়ের শিকড় কিন্তু ‘রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ’। যে সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাঁদের বাবা, শিল্পপতি ধীরুভাই অম্বানি। তবে, তিনি একা নন, সংস্থা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাঁর এক অংশীদারও ছিল। ধীরুভাই অম্বানি সেই সময় হাত মিলিয়েছিলেন তাঁর খুড়তুতো ভাই, চম্পকলাল দামানির সঙ্গে। দুই ভাই মিলে শুরু করেছিলেন এমন এক ব্যবসায়িক যাত্রা, যা ভারতীয় ব্যবসা জগতের চেহারাটাই পাল্টে দিয়েছিল। তবে এই যাত্রার শুরুটা ভারতে নয়, হয়েছিল ইয়েমেনে।

সেই সময়, মধ্য প্রাচ্যের দেশটিতেই থাকতেন ধীরুভাই অম্বানি এবং চম্পকলাল দামানি। তাঁরা দুজনে মিলে এমন এক ব্যবসা স্থাপনের কথা ভেবেছিলেন, যা ইয়েমেন এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনার সুবিধা নিতে পারে। গত শতাব্দীর পাঁচের দশকের শেষ দিকে, তাঁরা ‘মাজিন’ নামে একটি সংস্থা স্থাপন করেছিলেন। এই সংস্থা, ভারত থেকে ইয়েমেনে পলিয়েস্টার সুতো এবং মশলা আমদানি করত। এই সংস্থাই ছিল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ সাম্রাজ্যের ভিত।

এক দশক পর ভারতে ফিরে এসেছিলেন ধীরুভাই অম্বানি এবং চম্পকলাল দামানি। ‘রিলায়েন্স কমার্শিয়াল কর্পোরেশন’ নামে একটি নতুন সংস্থা শুরু করেছিলেন তাঁরা। সংস্থার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ইয়েমেনে পলিয়েস্টার সুতো এবং মশলা বিক্রি করা। মাত্র ১৫,০০০ টাকা দিয়ে মুম্বাইয়ের মসজিদ বন্দর এলাকায় স্থাপন করা হয়েছিল রিলায়েন্স কমার্শিয়াল কর্পোরেশনের প্রথম অফিস। ৩৫০ বর্গফুটের একটি ঘরে তিনটি চেয়ার, একটি টেবিল এবং একটি টেলিফোন – এটাই ছিল রিলায়েন্সের প্রথম অফিসের ছবি। ব্যবসায় সাহায্য করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল দুজন সহকারীকে। সেই সময়, মুম্বইয়ের ভুলেশ্বর এলাকায় দুই বেডরুমের একটি ছোট ফ্ল্যাটে সপরিবারে থাকতেন অম্বানি।

এরপর ধীরুভাই তাঁর নিজের ব্যবসায়িক দল গঠন করতে শুরু করেছিলেন। ছোট ভাই রমনিকভাই নাথুভাই, তাঁর ভাগ্নে রসিকভাই মেসওয়ানি এবং দুই পুরানো সহপাঠী-সহ বেশ কয়েকজন দক্ষ ব্যক্তিকে একত্রিত করেছিলেন তিনি। এই দলই পরবর্তীকালে রিলায়েন্সের দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের মেরুদণ্ড হয়ে উঠেছিল। ব্যবসার মূল চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছিল। তবে, প্রাথমিক রাস্তাটা ছিল কাঁটায় ভরা। ব্যবসায়িক সংঘাতে, ১৯৬৫ সালে অম্বানি এবং দামানির অংশীদারিত্বের অবসান ঘটেছিল। ব্যবসা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দামানি ছিলেন অনেক বেশি সতর্ক। অন্যদিকে, অম্বানি চাইতেন ক্রমাগত ঝুঁকি নিতে। এই বিভক্তির পরও ধীরুভাই অম্বানির নেতৃত্বে রিলায়েন্সের ধারাবাহিরকভাবে ব্যবসায়িক বৃদ্ধি ঘটতে থাকে। এই সময়, রিলায়েন্স বস্ত্রশিল্পে জোর দিয়েছিল। ১৯৬৬ সালে সংস্থার নাম বদলে রিলায়েন্স টেক্সটাইল করা হয়েছিল। তারপর থেকে আর রিলায়েন্সকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

Next Article