নয়া দিল্লি: স্বাধীনতা দিবস প্রায় এসেই গেল। ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কেটে গিয়েছে ৭৫টি বছর। এই দীর্ঘ সময়ে বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। স্থান-কাল-পাত্র হিসাবে বদলেছে স্বাধীনতার অর্থও। তবে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সকলেই বোঝেন স্বাবলম্বী হওয়ার প্রয়োজন। আর্থিক স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায়, এর সংজ্ঞা ব্যক্তি ও তাঁর আয়ের সঙ্গে পালটাতে থাকে। তবে সহজে এক কথায় বলতে গেলে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে যখন উপার্জনের জন্য কাজ করার প্রয়োজন পড়ে না, আপনার ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকে, তাকেই আর্থিক স্বাধীনতা বলে।
আগেই বলা হয়েছে ব্যক্তি বিশেষে আর্থিক স্বাধীনতার সংজ্ঞা বদলায়। যেমন ধরুন কোনও মহিলার কাছে আর্থিক স্বাধীনতার অর্থ হল নিজের যাবতীয় খরচ বহন করতে সক্ষম হওয়া। আবার যুব প্রজন্মের কাছে আর্থিক স্বাধীনতা হল এত টাকা রোজগার করা, যাতে চাকরি ছেড়ে ঘুরতে যেতে পারে বা নিজের স্বপ্নপূরণ করতে পারে। সংজ্ঞা যাই-ই হোক না কেন, আর্থিকভাবে স্বাধীন হতে গেলে কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন। যাতে অবসরকালে আপনাকে উপার্জন নিয়ে চিন্তা করতে না হয়।
অনেকের মতে, যখন আপনি বার্ষিক খরচের তুলনায় ৩০-৪০ গুণ অর্থ সঞ্চিত থাকবে, তখনই নিজেকে আর্থিকভাবে স্বাধীন মনে করতে পারেন। ধরুন আপনার বার্ষিক উপার্জন ৬ লক্ষ টাকা। এরমধ্যে আপনার বার্ষিক খরচ ৩ লক্ষ টাকা। এই হিসাব অনুযায়ী, আপনি যখন ৯০ লক্ষ টাকা সঞ্চয় করতে পারবেন, তখনই নিজেকে আর্থিকভাবে স্বাধীন বলে মনে করতে পারেন।
আবার আরেকভাবেও হিসাব করা যেতে পারে। ধরা যাক আপনার এখন বয়স ৩০। আপনি চান ৫০ বছরের মধ্যে আর্থিকভাবে স্বাধীন হতে। আপনার আয়ু যদি ৮৫ বছর হয়, তবে ৫০ বছরে আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়ার পরও আপনার হাতে ৩৫ বছর সময় থাকবে, যখন আপনাকে কোনও কাজ করতে হবে না। এই হিসাবে চললে আপনার হাতে ২০ বছর সময় রয়েছে, আর্থিকভাবে স্বাধীন হতে।
১. প্রথমেই সঞ্চয়ের পরিকল্পনা করুন। ভবিষ্যতে আর্থিকভাবে স্বাধীন হতে গেলে, বর্তমানে সঞ্চয় অত্যন্ত জরুরি।
২. উপার্জন বাড়াতে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করুন।
৩. পরিকল্পনা ছাড়া খরচ করবেন না। অনেকেই কিছু একটা দেখে পছন্দ হলে কিনে ফেলেন। এই ভুল করবেন না। আগে ভেবে দেখুন ওই সামগ্রীটির কি সত্য়িই প্রয়োজন রয়েছে আপনার।