দ্য ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস বা ইউপিআই (UPI) ব্যবহার আমাদের রোজকার জীবনের সঙ্গে ক্রমেই আরও বেশি করে জড়িয়ে যাচ্ছে। শপিং মল, পেট্রোল পাম্প থেকে স্ট্রিট ফুডের কোনও দোকান, মোবাইল স্ক্রিনে আঙুল ছুঁইয়ে অনলাইনে মুহূর্তে ‘পেমেন্ট ডান’। একদিকে ইউপিআইয়ে পেমেন্ট করার সুবিধা যেমন রয়েছে, একইভাবে এই ইউপিআই মাঝেমঝ্যেই বিড়ম্বনাতেও ফেলে দেয়। ক্যাবে গন্তব্যে চলে এলেন কিংবা রেস্তোরাঁয় খাবার খাওয়ার পর বিল মেটাতে যাচ্ছেন, অথচ বারবার ‘পেমেন্ট ফেলিওর’ হচ্ছে। এদিকে সঙ্গে নেই নগদ। কেন এমনটা হচ্ছে, বুঝেই উঠতে পারেন না অনেকে।
একাধিক কারণে পেমেন্ট ফেলিওর হতে পারে ইউপিআইয়ে। হতে পারে ইউপিআই আইডি ভুল দিয়েছেন আপনি। অথবা যাকে টাকা দিচ্ছেন তার ইউপিআই অ্যাড্রেসটা ভুল। আবার ব্যাঙ্ক সার্ভার ডাউন থাকলেও ফেলিওর হতে পারে পেমেন্ট। ইন্টারনেট ঠিকমতো কাজ না করলেও একই পরিস্থিতি হতে পারে আপনার। ইউপিআই পেমেন্ট নিয়ে রইল কিছু তথ্য-
ইউপিআই ট্রানজাকশনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ব্যাঙ্ক কিছু সীমাবদ্ধতা রাখে। এনপিসিআইয়ের গাইড লাইন রয়েছে, লক্ষাধিক টাকার বেশি ট্রান্সফার করা যাবে না। রোজকার টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে ১০ বার ইউপিআই ট্রানজাকশন হয়। ২৪ ঘণ্টার পর ডেইলি লিমিট রিনিউ হয়। ফলে এই সময় টাকা পাঠানোর শত চেষ্টা করেও আপনি ব্যর্থই হবেন।
ইউপিআই পেমেন্ট ফেলিওর যে সমস্ত কারণের জন্য হয়, সর্বাগ্রে থাকে ব্যাঙ্ক সার্ভারের ব্যস্ততা। এই সমস্যা কাটানোর একমাত্র পথ একের বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইউপিআই আইডির সঙ্গে লিঙ্ক করা। তাহলে কোনও একটা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাঠাতে সমস্যা হলে, অন্যটি কাজে লাগবে।
যাকে টাকা পাঠাচ্ছেন তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও আইএফএসসি কোড ভালভাবে জেনে নিন। টাকা প্রাপক ভুল অ্যাকাউন্ট নম্বর বা আইএফএসসি কোড দিলে আপনাকে পেমেন্ট ফেলিওরই দেখাবে।
ফোনের পাসওয়ার্ড, এটিএম পিন, ইমেল-সহ আরও কত পাসওয়ার্ড যে রোজকার ব্যবহারের অঙ্গ, হিসাব রাখা যায় না। স্বভাবতই পিন নম্বর গুলিয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়। এটা কিন্তু খেয়াল রাখা খুবই দরকার। বারবার ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে নোট করে রাখুন। তবে কোনওভাবেই যেন আপনার পিন নম্বরটা কেউ জেনে না যান, সেটা খেয়াল রাখতেই হবে।
নেটওয়ার্কের সমস্যা বা ব্যাঙ্ক সার্ভার সমস্যা ইউপিআই পেমেন্টের অন্তরায়। ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া বা এনপিসিআই (NPCI) ইতিমধ্য়েই ইউপিআই লাইট এনেছে।