গত ৫ মাসে ডলারের তুলনায় টাকার দাম পড়েছে ৪ শতাংশ। আর এর ফলে বেশ কিছুটা চাপেই রয়েছে ভারতের অর্থনীতি। ডলারের দাম বাড়ায় প্রভাব পড়েছে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারেও। ধীরে ধীরে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। কিন্তু সব কিছুরই যেমন একটা পজিটিভ আর একটা নেগেটিভ দিক থাকে তেমনই ডলারের দাম বাড়ায় কিছু সুবিধা পেয়েছে ভারতও।
ডলারের তুলনায় টাকার দাম যত কমবে ততই লাভবান হবে সেই সব সেক্টর যেখানে ভারত বিভিন্ন পণ্য এক্সপোর্ট করে। যেমন লাভবান হচ্ছে চামড়ার বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে সেই সব সংস্থা। একই সঙ্গে সেই সংস্থাগুলো দেশে কর্মসংস্থানও তৈরি করে ফলে, লাভবান হবে এই দেশের সেই সব মানুষ যাঁরা সেই সংস্থাগুলোয় এই পণ্য তৈরি করে।
আবার যদি ডলারের তুলনায় টাকা শক্তিশালী হতে থাকে তাহলে অটোমোটিভ, ইলেক্ট্রনিক্স, ফার্মা ও রিফাইনড পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্টস তৈরি করা সংস্থাগুলোর এক্সপোর্ট লাভবান হয়। কারণ এই সংস্থাগুলো যে পণ্য রফতানি করে তার অনেক কিছুই আমদানি করতে হয় সংস্থাগুলোকে। ফলে আমদানিতে খরচ কম হয়। আর আমদানি খরচ কম হলে তার প্রভাব পড়ে যে পণ্য রফতানি করা হয় তার দামেও। ফলে ডলারের তুলনায় টাকা শক্তিশালী হলে আখেরে লাভবান হয় দেশের রফতানি ক্ষেত্রই।
টাকার তুলনায় ডলার শক্তিশালী হলে টেক্সটাইলের মতো বেশ কিছু সেক্টর সমস্যায় পড়ে। যদিও টেক্সটাইল সেক্টর এমন একটা যা আমদানিকৃত পণ্যের উপর নির্ভর করে না। আর এখান থেকেই বোঝা যায় টাকার অবমূল্যায়ন রফতানিকে আসলে সেভাবে সাহায্য করে না। উল্টে যে সব পণ্য আমদানি করা হয়, তাদের আমদানি খরচ বাড়িয়ে দেয় ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন হয়ে যায়।