AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Income Tax: স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে বাঁচবে আয়কর নাকি এটা আসলে ফাঁদ?

Save Income Tax: স্ত্রী সাংসারিক খরচ বাঁচিয়ে সেই বাড়তি টাকা দিয়ে যদি কোনও বিনিয়োগ করে, তাহলে তা স্ত্রীর উপার্জন হিসাবে গণ্য হয়। যদি জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে স্বামীর স্যালারি জমা হয় তাহলেও সেই উপার্জনের উপর স্ত্রীকে কোনও আয়কর জমা করতে হবে না।

Income Tax: স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে বাঁচবে আয়কর নাকি এটা আসলে ফাঁদ?
Image Credit: Getty Images
| Updated on: Aug 11, 2025 | 5:38 PM
Share

ধরা যাক কোনও ব্যক্তি আয়কর বাঁচানোর জন্য নিজের উপার্জনের একটা অংশ স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করে দিল। সেই ক্ষেত্রে কী হবে? স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া অর্থ ফিক্সড ডিপোজিট, শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা হলে, সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ কিন্তু কর যোগ্য হিসাবেই গণ্য হবে। এবার প্রশ্ন হল এই অর্থ থেকে প্রাপ্ত কর কে দেবে স্বামী নাকি স্ত্রী?

আয়কর আইন বলছে, এই ক্ষেত্রে স্বামীর আয়ের সঙ্গে এই আয় যোগ হবে ও তার উপর কর গণনা হবে। স্ত্রীর আলাদা কোনও উপার্জন না থাকায় স্ত্রীর নামে আলাদা করে কোনও আয়কর ধার্য হবে না। ফলে, এইভাবে আয়কর কেউ বাঁচাতে চাইলে, তা সম্ভব হবে না।

তবে, স্ত্রীকে যদি স্বামীর সংস্থায় কর্মরত হিসাবে দেখানো হয় ও সেই সংস্থায় কর্মরত হিসাবে তাঁকে স্যালারি দেওয়া হয় তাহলে তা আয়কর দফতরের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে, কোম্পানির উপর যা যা নিয়ম লাগু হয়, সেই সব নিয়ম মেনেই স্ত্রীকে স্যালারি দিতে হবে। কোনও পেপার ওয়ার্ক ছাড়া স্ত্রীকে একটা বাড়তি টাকা দেওয়া যাবে না।

এ ছাড়া আরও একটা ব্যাতিক্রম রয়েছে। স্ত্রী সাংসারিক খরচ বাঁচিয়ে সেই বাড়তি টাকা দিয়ে যদি কোনও বিনিয়োগ করে, তাহলে তা স্ত্রীর উপার্জন হিসাবে গণ্য হয়। তবে সাংসারিক খরচ যদি ৫ হাজার টাকা হয় ও বাড়তি টাকা যদি ২০ হাজার টাকা হয়, তাহলে সেই টাকা বিনিয়োগের পর, তা থেকে উপার্জন কিন্তু কখনই স্ত্রীর উপার্জন হিসাবে গণ্য হবে না। কারণ, সাংসারিক খরচ থেকে বাঁচানো টাকা সাংসারিক খরচের আর্থিক অঙ্কের তুলনায় অবশ্যই কম হয়।

স্ত্রীধন থেকে উপার্জিত অর্থ আবার স্ত্রীর উপায় হিসাবে গণ্য হয়। তবে, স্বামীর থেকে প্রাপ্ত উপহার কিন্তু স্ত্রীধন হিসাবে গণ্য হবে না। ওই উপার্জন স্বামীর উপার্জনের সঙ্গে যুক্ত হবে। আচ্ছা, স্ত্রীকে যদি ঋণ দেওয়া হয়, তাহলে তা থেকে উপার্জিত অর্থ কি স্ত্রীয়ের বলেই গণ্য হবে? স্ত্রীকে যদি ঋণ দেওয়া হয়, তাহলে সেই ঋণ থেকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট হারে সুদ নিতে হবে স্বামীকে ও দেওয়া অর্থ সুদে-আসলে পুরটাই ফেরত নিতে হবে স্ত্রির থেকে। এ ছাড়াও ঋণ দিলে, সেই ঋণ দেওয়ার একটা সঠিক কারণও দর্শাতে হবে। সেই ঋণের টাকা স্ত্রী যদি বিনিয়োগ করেন, তাহলে আরও বড় সমস্যায় পড়তে পারেন স্বামী।

যদি জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে স্বামীর স্যালারি জমা হয় তাহলেও সেই উপার্জনের উপর স্ত্রীকে কোনও আয়কর জমা করতে হবে না। পুরো করটাই জমা করতে হবে স্বামীকে। তবে, স্বামী ও স্ত্রী যদি দুজনেই কর্মরত হন, সেই ক্ষেত্রে দুজন যেহেতু আলাদা আলাদা আয়কর জমা করবেন, সেই কারণে পুরনো ট্যাক্স রেজিমের অধীনে ট্যাক্স ডিডাকশন দু’জনে আলাদা আলাদা করেই ক্লেম করতে পারবেন।