নয়া দিল্লি: বিশ্বের অন্নদাতা হিসাবেই পরিচিত ভারত। কিন্তু বিশ্বায়নের প্রভাবে এবার অন্য দেশের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার দায়িত্ব থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। চলতি বর্ষার মরশুমে কম বৃষ্টিপাতের কারণেই প্রভাব পড়েছে দেশের ধান উৎপাদনে। দেশবাসীর পেট ভরাতেই তাই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। শুক্রবার থেকেই বিদেশে ভাঙা চাল রফতানির উপরে জারি করা হল নিষেধাজ্ঞা। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের চালের রফতানির উপরেও ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক বসানো হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসাবে বর্ষার মরশুমে তুলনামূলকভাবে কম উৎপাদন হওয়াকেই উল্লেখ করা হয়েছে। আগে মুক্ত রফতানি নীতি থাকলেও, এবার তার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ভাঙা চাল রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর অবধি বেশ কিছু জাহাজে চাল তোলা ও রফতানিতে ছাড় দেওয়া হবে। চালের রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির আগে যেই রফতানির অর্ডারগুলি দেওয়া ছিল, তা পাঠাতে কোনও রকম বাধা থাকবে না। ইতিমধ্যেই ভারতীয় বন্দরগুলিতে যে বিদেশি জাহাজ এসেছে চাল নিয়ে যাওয়ার জন্য, তাতে চাল পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনও বাধা বা সমস্যা থাকবে না।
সম্প্রতিই কেন্দ্রের তরফে ভাঙা চালের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির সময়ে জানানো হয়েছিল যে, গত বছরের তুলনায় এবার খরিফ ফসলের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম হয়েছে। এরফলে উৎপাদনের উপরে যেমন প্রভাব পড়বে, তেমনই চালের দামও বাড়তে পারে। দেশে যাতে মজুত ধান ও চালের অভাব না দেখা যায়, তা নিশ্চিত করতেই আপাতত বিদেশে ভাঙা চাল রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর আগে গম, আটা, চিনির রফতানিতেও রাশ টানা হয়েছিল খাদ্যসঙ্কট রুখতে।