India-China Payment System: ‘ঈগল’কে চমকে দিতে এবার হাত মেলাবে ‘ড্রাগন’ ও ‘হাতি’? চাপে আমেরিকার অর্থনীতি!
USA Economy Under Pressure: এসসিও সামিটে একাধিক বিষয়ের মতো ভারত ও চিনের কথা হয়েছে একটি আলাদা পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ে। যা কি না পশ্চিমা বিশ্বের পেমেন্ট সিস্টেমকে বাইপাস করতে পারে।

ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ভারতের উপর হঠাৎ কেন এই শুল্ক? ভারত সস্তায় রাশিয়ান তেল কেনে, তাতেই নাকি রেগে গিয়েছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট। আর তাই ভারতকে ‘শাস্তি’ দিতে এই শুল্ক বসিয়েছেন তিনি। কিন্তু এতে আমেরিকার কতটা লাভ হল তা বোঝা না গেলেও বিশ্ব রাজনীতিতে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র বদলাচ্ছে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, সদ্য সমাপ্ত এসসিও সামিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনের শি জিনপিংকে এক মঞ্চে দেখেছে গোটা বিশ্ব। আর তারপর আগামীতে কী হতে চলছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলের বিভিন্ন মতের মধ্যে একটা কথা বেশ স্পষ্ট, যে আগের বৈরিতা ভুলে ভারত ও চিন আবার একে অপরের বেশ কাছে আসছে।
এসসিও সামিটে একাধিক বিষয়ের মতো ভারত ও চিনের কথা হয়েছে একটি আলাদা পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ে। যা কি না পশ্চিমা বিশ্বের পেমেন্ট সিস্টেমকে বাইপাস করতে পারে। যদিও অনেকদিন ধরেই ব্রিকস দেশগুলোর মধ্যে একটা পেমেন্ট সিস্টেম চালু করা নিয়ে কথাবার্তা চলছে। মনে করা হচ্ছে, এই ধরণের কোনও পেমেন্ট সিস্টেম চালু হলে আসলে চাপে পড়বে আমেরিকাই। কারণ, বর্তমানে যে কোনও দেশই আমেরিকার স্যুইফট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে।
নতুন এই পেমেন্ট সিস্টেম চালু হলে চাপ বাড়বে আমেরিকার উপর। আর একবার এই ধরণের কোনও পেমেন্ট সিস্টেম তৈরি হলে তা চ্যালেঞ্জ করবে স্যুইফট ব্যবস্থার মনোপলিকে। বর্তমানে আমেরিকা যে অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ারে পরিণত হয়েছে, অনেকাংশেই তার ভিত্তি এই স্যুইফট ব্যবস্থা। আর সেই কারণেই ভারত ও চিনের এই পদক্ষেপ একেবারেই না পসন্দ আমেরিকার প্রেসিডেন্টের।
