‘মৃত অর্থনীতির দেশ’-এর রেটিং বাড়িয়ে দিল Donald Trump-এর দেশের সংস্থাই!
Donald Trump, Indian Economy: ভারতের সোভেরেইন ক্রেডিট রেটিং বাড়িয়ে দিল আমেরিকান সংস্থা এসঅ্যান্ডপি (S&P)। তাদের দেওয়া তথ্য বলছে বর্তমানে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল।

রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের উপর মোটা অঙ্কের কর বসিয়ে তিনি এ দেশের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে কটাক্ষ করেন। আর তার কয়েক দিনের মধ্যেই ভারতের সোভেরেইন ক্রেডিট রেটিং বাড়িয়ে দিল আমেরিকান সংস্থা এসঅ্যান্ডপি (S&P)। তাদের দেওয়া তথ্য বলছে বর্তমানে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল।
আগে ভারতের এসঅ্যান্ডপি (S&P) রেটিং ছিল ‘BBB-‘। যার অর্থ ভারতের ঋণ শোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। এ ছাড়াও ভারতে লগ্নিও করা যায়। তবে সেই রেটিং আরও খারাপ হওয়ার অর্থ ছিল ভারতের ঋণ শোধ করার ক্ষমতা নেই। আর লগ্নি করার পক্ষেও ভারত সঠিক জায়গা নয়। এবার সেই রেটিং বাড়িয়ে দিল এসঅ্যান্ডপি (S&P)। বর্তমানে ভারতের রেটিং ‘BBB’। ১৯ বছর পর ভারতের রেটিংয়ে এই উন্নতিতে চমকে গিয়েছেন অনেকেই। তবে, এই সিদ্ধান্তে বেশ খুশি সরকার।
শেষবার ২০০৭ সালে বদলেছিল ভারতের এই মূল্যায়ন। তবে কয়েকদিন আগে আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ওই শুল্ক চাপানোর ফলে মনে করা হয়েছিল, আগামীতে ভারতের এই রেটিং আরও পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে বাস্তব চিত্র যাই হোক না কেন, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ঋণ শোধে অপারগ ও লগ্নির অযোগ্য দেশের তালিকায় ঠাঁই হত ভারতের। কিন্তু হল ঠিক তার বিপরীত। এসঅ্যান্ডপি-র দাবি ‘BBB’ রেটিং মানে ঋণ শোধের ক্ষমতা বেড়েছে ভারতের। বেড়েছে লগ্নি পাওয়ার যোগ্যতাও।
এই রেটিং নিয়ে কী লাভ হবে ভারতের? বিশেষজ্ঞরা বলছেন রেটিংয়ে এই উন্নতির ফলে বাজার থেকে সহজে, স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়া সহজ হবে ভারতের পক্ষে। ঠিক যেমন ক্রেডিট স্কোর ভাল হলে সাধারণে মানুষের ঋণ পেতে সুবিধা হয়। ঠিক তেমনই। এসঅ্যান্ডপি বলছে, ভারতের অর্থনীতি যে গতিতে এগোচ্ছে তাতে খাতায় কলমে মূল্যবৃদ্ধি কেন্দ্রের আয়ত্তের মধ্যেই রয়েছে। এ ছাড়াও পরিকাঠামো ও বিভিন্ন খাতে যেভাবে সরকার খরচ করছে তাতে আগামী ২ বছরের মধ্যে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির গতি আরও বাড়বে। আর সেই কারণেই বাড়ানো হল এই রেটিং।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতির দেশ’ বলে কটাক্ষ করলেও তাঁর সংস্থা ট্রাম্প অর্গানাইজেশন কিন্তু ভারতে একের পর রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করেই চলেছে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের তথ্য বলছে, শেষ ১০ বছরে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের জন্য আমেরিকার পর সবচেয়ে বড় বাজার রয়েছে ভারতেই। ফলে, মুখে যাই বলুন না কেন, ভারতের অর্থনীতি আসলে ‘মৃত’ নাকি ‘জীবিত’ তা আমেরিকান প্রেসিডেন্ট খুব ভাল করেই জানেন।
