নয়া দিল্লি: বিশ্বের বৃহত্তম কর্মক্ষম দেশগুলির মধ্যে উঠে আসবে ভারত (India)। ২০৩০ সালের মধ্যেই জি-২০ (G-20) -ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বৃহত্তম কর্মক্ষম জনসংখ্যার দেশ হবে ভারত। এছাড়া পাঁচটি বৃহৎ অর্থনীতি দেশের মধ্যে তিনটি হবে জি-২০ ভুক্ত দেশ। সেগুলি হল- ভারত, চিন ও ইন্দোনেশিয়া। সম্প্রতি প্রকাশিত ম্যাককিনসের রিপোর্টে এমনই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ম্যাককিনসে শনিবার জি-২০ অর্থনীতির রিপোর্ট তুলে ধরে স্থায়ী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রীবৃদ্ধির বিষয়ে একটি রিপোর্ট তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হয়েছে, “বিশ্ব সম্ভবত অর্থনীতিকে পূর্বের দেশগুলির দিকে স্থানান্তরিত হতে দেখছে।” বিশ্বের বৃহত্তম কর্মক্ষম দেশের তালিকা প্রকাশ করে ম্যাককিনসের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “বিশ্ব প্রকৃতপক্ষে সম্ভবত আগের তুলনায় অনেক বেশি আন্তঃনির্ভরশীল। কারণ আগের তুলনায় অনেক বেশি ডিজিটালি তথ্য আদানপ্রদানের মাধ্যমে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। যার ফলে বিশ্ব অর্থনীতি এক নতুন যুগের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে এবং অর্থনৈতিক ভূগোল পূর্বদিকে সরে গিয়েছে।”
ম্যাককিনসে-র রিপোর্ট অনুসারে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বর্তমানে ঋণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। জি-২০-ভুক্ত দেশগুলির ঋণ মোট জিডিপি-র ৩০০ শতাংশের বেশি। ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য অতিরিক্ত বেড়েছে। যেখানে ১০ শতাংশ ধনী এবং ৫০ শতাংশের বেশি দরিদ্র রয়েছে। জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে চিন এবং ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার সবচেয়ে ভাল পর্যায়ে রয়েছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
আবার অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের নিরিখে জি-২০ অর্থনীতির জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি বা ২৬০ কোটি মানুষ অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সীমার নীচে বাস করে বলে ম্যাককিনসে-র রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারীর সংখ্যা ১০ কোটি, উদীয়মান অর্থনীতিতে আর্থিক ক্ষমতায়নের সীমার মধ্যে রয়েছে ২২০ কোটি মানুষ এবং উন্নত অর্থনীতিতে রয়েছে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ। বিশ্বব্যাপী এই ধরনের মানুষের সংখ্যা ৪৭০ কোটি বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ম্যাককিনসের মতে, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ এই লাইনের নীচে বাস করে। ২০২০ সালের হিসাবে ভারতের জনসংখ্যার ৭৭ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লাইনের অধীনে বাস করত।