কলকাতা: নতুন বছরে কতটা উত্থান ও কতটা পতন দেখা যাবে ভারতীয় অর্থনীতিতে? কতটাই প্রভাব পড়বে শেয়ার বাজারে? নতুন বছরের শুরুতেই সেই তথ্য তুলে ধরল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার বা আইএমএফ। তারা জানিয়েছে, চলতি বছরে একটু হলেও ধুঁকতে পারে ভারতের অর্থনীতি। এমনকি শুধু ভারত নয়, বিশ্বের একাধিক বড় দেশগুলিই হোঁচট খেতে পারে এই বছর।
এদিন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টলিনা জোর্জিভা সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ‘চলতি বছরে খানিকটা দুর্বল হতে পারে ভারতের অর্থনীতি। শুধু তা-ই নয়, আমেরিকা ট্রেড পলিসির কারণে ধুঁকতে পারে বিশ্বের একাধিক দেশ।’ তবে ঠিক কী কারণে হোঁচট খেতে পারে ভারত, এই নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বললেন না জোর্জিভা। উল্টে বিশ্বের বাকি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কোন দিকে যেতে পারে সেই নিয়ে কার্যত ভবিষ্যদ্বাণী করতে বসলেন তিনি।
তাঁর দাবি, ‘বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চিনের অন্দরে উৎপাদন চাহিদা ঘিরে সমস্যা বেড়েই চলেছে। অন্য দিকে, ব্রাজিলে মূল্যবৃদ্ধি আরও বাড়তে পারে বলেই ধারণা। অল্প আয়ের দেশগুলিতে চলতি বছরে আর্থিক টানাপোড়েন আরও বাড়তে পারে বলেই ধারণা। শুধু তা-ই নয়, গোটা বিশ্বজুড়েই একটা অনিশ্চয়তার পরিস্থিতি।’
বিশ্বের যখন প্রতিটি দেশ ধুঁকবে, আর্থিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে, তখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ফলাফল ভালই হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক দুর্বলতা যে তৈরি হতে চলেছে, তা অস্বীকার করছেন না ভারতের বিশেষজ্ঞরা। তবে সেই টানাপোড়েনের মাঝে ভারতের ফলাফল খুব বেশি খারাপ হবে না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অন্য দিকে, সদ্য প্রকাশিত এস অ্যান্ড পি-এর গ্লোবাল রিপোর্ট বলছে ভারতের অর্থনীতি ঠিক পথেই রয়েছে।
তাদের অনুমান, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার লক্ষ্যে সঠিক পথেই রয়েছে ভারত। পাশাপাশি, ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধিতে অনেকটাই যোগদান থাকবে ভারতের।