নয়াদিল্লি: নতুন বছরে বিশ্বকে দিশা দেখাবে ভারতের অর্থনীতি। এই মুহূর্তে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত। ২০৩০ সালের মধ্যে লক্ষ্য বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি পৌঁছনোর। আর সেই লক্ষ্যের শুভ সূচনা ঘটে গিয়েছে বলেই মত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তাদের আরও দাবি, বিশ্বজুড়ে চলা অনিশ্চয়তার মাঝে আশা দেখাচ্ছে ভারতের অর্থনীতি। এমনকি, চলতি অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে আরও শক্তি বাড়াবে ভারতের অর্থনীতি।
যখন গোটা বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, কর্মী ছাঁটাই, মূল্যবৃদ্ধির মতো বাধাগুলি পেরোতে অক্ষম হবে, সেই সময় দিশা দেখাবে ভারত। শেষ ত্রৈমাসিকে গড়বে আর্থিক বৃদ্ধির হারের নতুন রেকর্ড, দাবি অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টেও একই দাবি করা হয়েছে বলেই খবর।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে একটি অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা। ধুঁকছে চিন, আমেরিকা, ইউরোপের মতো বৃহত্তম দেশগুলির অর্থনীতিও। চিনে উৎপাদন খাতে তৈরি হয়েছে ঘাটতি। যেখানে আগে বিশ্বের বাজারে বিক্রি হওয়া সকল পণ্য তৈরি করত চিন। সেখানে এখন অনেকটাই কমেছে তাদের আধিপত্য। বেড়েছে গার্হস্থ্য খরচ।
একই দুরাবস্থা আমেরিকাতেও। কর্মী ছাঁটাইয়ের জেরে উৎপাদন ব্যবস্থায় পড়েছে মার। দুর্বল হয়েছে ইউরোপের উৎপাদন ব্যবস্থাও। শিল্পে এগিয়ে থাকা এবং বিপ্লব ঘটানো এই দেশগুলিতে আপাতত ঠেকনা দিয়ে চলছে উৎপাদন ব্যবস্থা।
এই ফাঁকে ভারতের অবস্থাও যে খুব ভাল এমনটা কিন্তু, যখন বিশ্বজুড়ে জাঁকিয়ে বসেছে আর্থিক দুরাবস্থা, তখন বিশ্বের বৃহত্তম দেশগুলির তুলনায় অনেকটাই ভাল আর্থিক ফল এনেছে ভারত। গত আর্থিক কোর্য়াটারে ভারতের জিডিপির কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট ছিল ১.৩ শতাংশ। যা খানিকটাই কমে হয়েছে ১.২ শতাংশ।