বৃহস্পতিবার স্টক মার্কেটে শেষ হল সংবত সাল ২০৮০। শেষের দিন সেনসেক্স ৫৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৭৯,৩৮৯ পয়েন্টে, যা তিন মাসে প্রায় সবচেয়ে নীচের দিকে। ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জে নিফটির ১৩৬ পয়েন্ট কমে তা শেষ হয় ২৪,২০৫ পয়েন্টে।
বছরের শেষ মাসে বিদেশী ফান্ডগুলির বেশি বিক্রি দেখতে পাওয়া গিয়েছে যা প্রতিটি শীর্ষ সূচক থেকে প্রায় ৬% কমিয়ে দিয়েছে। এর ফলে গত দীপাবলি বা ১২ নভেম্বর থেকে, ভারতে বিনিয়োগকারীদের সম্পদ ১২৮ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ৪৫৩ লক্ষ কোটি হয়েছে। বর্তমান বিনিময় হারে প্রায় ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার। যা সংবত ২০৮০ কে রেকর্ড সম্পদ সৃষ্টিকারী সালে পরিণত করেছে।
ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, শক্তিশালী ম্যাক্রোনমিক ফান্ডামেন্টাল এবং দেশীয় তহবিলের ৪.৭ লক্ষ কোটি টাকার রেকর্ড প্রবাহ সত্ত্বেও একটি স্থিতিশীল সরকারের ক্ষমতায় থাকা এবং অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতির মতো বিষয়গুলিকে হ্যান্ডেল করাতেই এই ব্যপক সম্পদের বৃদ্ধি বলে মনে করা হচ্ছে।
কোটাক সিকিউরিটিজের এমডি এবং সিইও শ্রীপাল শাহের মতে, ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ, ঘরোয়া সমস্যা যেমন- নির্বাচন, বর্ষা, বা স্ট্রং ম্যাক্রো সূচক এবং বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার জন্য সেবির ক্রমাগত চেষ্টা সবই এই বাজারের ইকোসিস্টেমে অবদান রেখেছে। তিনি বলেন, “ভারতের বৃদ্ধির অংশ হতে নতুন বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও উল্লেখ্যযোগ্য, আগ্রহ দেখা গিয়েছে।”
বৃহস্পতিবার, ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে যে তার বিনিয়োগকারীদের বেস ২০ কোটি ছাড়িয়েছে। এমনকি মিউচুয়াল ফান্ড সেক্টরে যখন শিল্প দ্বারা পরিচালিত মোট সম্পদ ছিল প্রায় ৬৮ লক্ষ কোটি টাকা, সেখানে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা এসআইপির মাধ্যমে মাসিক গ্রস ইনফ্লো ছিল প্রায় ২৫,০০০ কোটি টাকা। এই বছরে ভারতীয়দের সবচেয়ে প্রিয় মূল্যবান ধাতু বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে।
জনপ্রিয় বিনিয়োগ মাধ্যমগুলির মধ্যে বিটকয়েন, ৭২% রিটার্ন সহ সেরা-পারফর্মিং অ্যাসেট ক্লাস ছিল শেষ বছরে। রিটার্ন স্পেকট্রামের দিকে, রুপি এবং অপরিশোধিত তেল সেই ভাবে কোনো রিটার্ন দিতে পারেনি। সেবি প্রধানের পদত্যাগ বিতর্ক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল এই বছরে। ফলে আসন্ন সংবত ২০৮১ সাল, ভারতীয় ইক্যুইটিগুলির জন্য আরও কঠিন হতে চলেছে বলেই অনুমান।