নয়া দিল্লি: কর্মসূত্রেই হোক বা পারিবারিক কারণে, অনেক সময়ই প্রয়োজন পড়ে বাসস্থান বদলের। এই শহর বদল বা বাড়ি বদলের কাজ কিন্তু সহজ নয়। শহর বদল মানে শুধু নতুন বাড়ি খুঁজে বের করাই নয়, একইসঙ্গে পুরনো বাড়ির যাবতীয় সরঞ্জামকেও বয়ে নিয়ে যেতে হয় নতুন ঠিকানায়। যাবতীয় জিনিসপত্র প্যাক করা, তা সাবধানে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। তবে চিন্তার আর কারণ নেই, আপনার দুশ্চিন্তা দূর করবে ভারতীয় রেলওয়ে। এবার আপনার বাড়িতে এসেই যাবতীয় সামগ্রী সংগ্রহ করে তা নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দেবে ভারতীয় রেলওয়ে। ইন্ডিয়ান পোস্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই নতুন উদ্যোগের সূচনা করেছে ভারতীয় রেলওয়ে।
এবার থেকে ভারতীয় রেলওয়ের হয়ে ইন্ডিয়া পোস্ট বাড়ি থেকে এসে যাবতীয় সামগ্রী সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে এবং তা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। ইন্ডিয়া পোস্ট ও ভারতীয় রেলওয়ের এই যৌথ উদ্যোগের নাম গতি শক্তি এক্সপ্রেস কার্গো সার্ভিস। রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, গ্রাহকদের জন্য এই ডোর টু ডোর পার্সেল পরিষেবা চালু করা হয়েছে। পণ্য় পরিবহনে এই পরিষেবা ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে উঠতে পারে। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব দিল্লির আইসিওডি ওখলা থেকে গতি শক্তি এক্সপ্রেস কার্গো সার্ভিসের উদ্বোধন করেন। প্রথম ধাপে দেশের ১৫টি সেক্টরে এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে। তবে আপাতত চারটি সেক্টরেই পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। এগুলি হল দিল্লি থেকে কলকাতা, বেঙ্গালুরু থেকে গুয়াহাটি, সুরাট থেকে মুজাফ্ফরপুর ও হায়দরাবাদ থেকে হজরত নিজামুদ্দিন।
এই পরিষেবার প্রধান সুবিধাই হল পিকআপ ও ডেলিভারি সার্ভিস। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এক ঠিকানা থেকে অন্য ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হবে যাবতীয় পার্সেল।. এই পরিষেবায় খরচও বাকি পার্সেল পরিষেবার তুলনায় কম। এছাড়া মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বুকিং, ট্রাকিং, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক পার্সেল ভ্যান, সেমি-ক্যানড হ্য়ান্ডলিং, এমনকী পণ্যের দামের ০.০৫ শতাংশ ইন্সুরেন্স পরিষেবাও পাওয়া যাবে।
এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পার্সেল পাঠানোর জন্য প্রতি কিলোমিটার ও প্রতি কেজি ওজনের ভিত্তিতে খরচ ধার্য করা হবে। আপাতত সপ্তাহে চারদিন এই পরিষেবা পাওয়া যাবে- সোমবার, বুধবার, শুক্রবার ও শনিবার।