উপার্জন করা যেমন কঠিন, তেমনই জীবনকে সুরক্ষিত করার জন্য টাকা জমানো আরও কঠিন। একটু খরচ নিয়ন্ত্রণ করে যদি আপনি বিনিয়োগ করতে পারেন, তাহলে দুশ্চিন্তা কমে অনেকটাই। জীবন বীমা নিগমের এমন কিছু পলিসি আছে, যাতে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফেরত পাওয়া যায়। জীবন বীমা নিগমের ‘জীবন লাভ’ স্কিমে বিনিয়োগ করলে লাভ পাওয়া যায় অনেক বেশি।
পলিসি ম্যাচিওর হওয়ার আগে যদি বিনিয়োগকারীর মৃত্যু হয়, সে ক্ষেত্রে তাঁর পরিবার টাকা পাবে এই পলিসি থেকে। এ ছাড়া পলিসি ম্যাচিওর হলে বিনিয়োগকারী একটা বড় অঙ্কের টাকা পাবেন।
চার রকমভাবে এলআইসি-র এই স্কিমে পেমেন্ট করা যেতে পারে। ১. মাসে মাসে ৫০০০ টাকা দিতে পারেন।
২. তিন মাস অন্তর ১৫ হাজার টাকা করে দিতে পারেন।
৩. ৬ মাস অন্তর ২৫ হাজার টাকা দিতে পারেন।
৪. বছরে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া যেতে পারে।
ধরা যাক আপনার বয়স ২৫ এবং আপনি ২৫ বছরের একটি প্ল্যানে টাকা বিনিয়োগ করতে চান। সে ক্ষেত্রে বছরে আপনাকে প্রিমিয়াম দিতে হবে ৮৬৯৫৪ টাকা। হিসেব করলে দেখা যাবে, আপনি দিনে ২৩৮ টাকা জমালেই বছরের প্রিমিয়াম জমে যাবে।
সে ক্ষেত্রে পলিসি ম্যাচিওর হওয়ার পর পাওয়া যাবে মোট ৫৪.৫০ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ আপনার বয়স যখন ৫০ বছর হবে, তখন ওই প্ল্যান ম্যাচিওর হবে আর টাকা পাওয়া যাবে।
যে টাকা নিশ্চিতভাবে আপনার পাওয়ার কথা সেই টাকাকে বলা হয় ‘সাম অ্যাসিওরড অন ডেথ’। পলিসি চলাকালীন মৃত্যু হলে ‘সাম অ্যাসিওরড অন ডেথ’-এর পাশাপাশি বোনাস ও অ্যাডিশনাল বোনাস দেওয়া হবে।